শিলং: বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মেঘালয়ে শুক্রবার প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যে নির্বাচনী বিধি চালু হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই। এদিন ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র আধাসামরিক বাহিনী বা সেন্ট্রাল আর্মড প্যারামিলিটারি ফোর্সেস (Central Armed Paramilitary Forces – CAPF) রাজ্যে এসে পৌঁছানোর খবর সংবাদ মাধ্যমকে জানান মেঘালয়ের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এফআর খারকোংগর (FR Kharkongor, Chief Election Officer of Meghalaya)।
বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে এবার মেঘালয়ে ১২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। প্রথম দফায় শুক্রবার ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে পৌঁছেছেন রাজ্যে। নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসবে রাজ্যে নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য বাকি ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন পর্ব (Tripura Assembly Election 2023) মিটলেই বাকি ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মেঘালয়ে (Meghalaya) এসে পৌঁছাবে। আগামী ২৭ তারিখ মেঘালয় ছাড়াও নাগাল্যান্ডে বিধানসভা নির্বাচন (Nagaland Assembly Election 2023) রয়েছে।
আরও পড়ুন: Meghalay Assembly Election 2023: মেঘালয়ে সরকার গঠনে মরিয়া তৃণমূল
উল্লেখ্য, মেঘালয়ে ৬০টি বিধানসভা আসনে এবার একদিনেই ভোটগ্রহণ হবে। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ২ মার্চ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে। ৪ মার্চের মধ্যে রাজ্যে ভোটপর্ব মিটে যাচ্ছে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে ক্ষমতাসীন সরকারের মেয়াদ রয়েছে। তারপরই নতুন সরকার ক্ষমতায় বসবে। রাজ্যে এই মুহূর্তে ক্ষমতায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা (Chief Minister Conrad K Sangma)-র ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (National People’s Party – NPP) নেতৃত্বাধীন মেঘালয়া ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (Meghalaya Democratic Alliance)। ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি (BJP) ও এনপিপি (NPP) জোটসঙ্গী হলেও, এবার পদ্ম শিবির এককভাবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যে এবার ৬০টি আসনেই প্রার্থী দিচ্ছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তারা। মুখ্যমন্ত্রী কনরাডের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন বার্নার্ড মারাক (Bernard K Marak)।