কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় মোচা ঘণ্টায় ১৩০ কিমি গতিতে আছড়ে পড়বে। বুধবার রাতেই তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড়। এখন পোর্ট ব্লেয়ার থেকে সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার পশ্চিমে তার অবস্থান। রাতের মধ্যে অতি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১১ তারিখ সকালের মধ্যে সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও ১১ মে মধ্যরাতে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ১৪ মে সকালে বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে মায়ানমারের কাকপিউর মধ্যে ভূভাগে প্রবেশ করবে সেটি। ভূভাগে প্রবেশের সময় হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এই পূর্বাভাস দিলেন পূর্বাঞ্চলীয় আবহাওয়া অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে রাজ্যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সমুদ্রে নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ায় ইতিমধ্যে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আন্দামান নিকোবরে। শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ঘূর্ণিঝড় মোকার মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকার। সুন্দরবন (Sundarbans), দিঘার (Digha) মতো উপকূলের এলাকাগুলিতে জারি বাড়তি সতর্কতা। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাবে ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে রাজ্যে। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা (Kolkata) ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal ) বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। শনিবার থেকে উপকূলে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শুরু হবে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলের অংশে। রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি চলবে।
আরও পড়ুন: Kedarnath Temple | পাণ্ডবদের নির্মাণ করা এই মন্দিরের ইতিহাস জানলে বিস্মিত হবেন
বুধবার সঞ্জীববাবু বলেন, গতকালের গভীর নিম্নচাপ আরেকটু শক্তি সঞ্চয় করে বর্তমানে অতিগভীর নিম্নচাপ হিসাবে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছেন। ১৩ মে ঘূর্ণিঝড়টির সামান্য শক্তিক্ষয় হবে। এর পর ১৪ মে বেলা ১২টার মধ্যে ঝড়টি বাংলাদেশ বা মায়ানমার উপকূল দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করবে। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের কাকপিউর মধ্যে ঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা। ভূভাগে প্রবেশের সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। যা সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার স্পর্শ করতে পারে।তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারও পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা বাদ দিয়ে রাজ্যের বাকি জেলায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকবে। শুক্রবার শুধুমাত্র বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।