কাতার: কাতার বিশ্বকাপের (Qatar World Cup) গ্রুপ পর্ব থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল (Quarter Final) পর্যন্ত ছিল আল রিহলা (Al Rihla)। সেমিফাইনালে (Semi Final) আর দেখা যাবে না তাকে, আগমন ঘটেছে আল হিমের (Al Hilm)। তৃতীয় স্থান নির্ধারণকারী ম্যাচ সহ বাকি চারটে ম্যাচেই থাকবে সে। অবাক হবেন না, যাদের নাম বলছি তারা মানুষ নয়, ফুটবল। এ পর্যন্ত আল রিহলা বলে খেলা হয়েছে, সেমিফাইনাল থেকে খেলা হবে আল হিম বলে। দুটোর নির্মাতাই অ্যাডিডাস (Adidas) সংস্থা।
প্রযুক্তিগত কোনও পার্থক্যই নেই দুই বলের মধ্যে। বদল এসেছে স্রেফ দেখনদারিতে। নতুন আল হিমে রয়েছে সোনালি আভা। সেই সঙ্গে থাকবে কাতারের জাতীয় পতাকার রং এবং বিশ্বকাপ ট্রফির রং। আল রিহলা বলে ছিল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে রেফারি (Referee) এবং সহকারী রেফারিদের কাছে তথ্য পৌঁছে যায় মুহূর্তের মধ্যে। আল হিমেও সেই একই প্রযুক্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন: Qatar World Cup: গোটা আফ্রিকা মহাদেশেই বিপ্লব ঘটাতে পারে মরক্কোর সাফল্য
জানা গিয়েছে, এই দু’ ধরনের বলেই যেমন হাওয়া ভরতে হয় তেমন দিতে হয় চার্জও। গোটা ম্যাচ জুড়ে বলগুলোতে যে পরিমাণ লাথালাথি চলে তাতে এই প্রযুক্তি কী করে কর্মক্ষম থাকে সেটাই এক বিস্ময়ের। অত্যাধুনিক বল নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও ফুটবলার কোনও অভিযোগ জানাননি। প্রযুক্তির ব্যবহারে বল তার স্বাভাবিক চরিত্র হারায়নি তাতেই বোঝা যায়।
আল হিম শব্দের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় স্বপ্ন। টিকে থাকা চারটে দেশের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে শামিল আল হিম। আশা করা যায়, আল রিহলার মতো আল হিম নিয়ে জাদু দেখাবেন লিয়োনেল মেসি (Lionel Messi), সাঁই সাঁই করে ছুটবেন কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe)। প্রথমবার সেমিফাইনালে ওঠা মরক্কো (Morocco) এবং গতবারের রানার্স ক্রোয়েশিয়ার (Croatia) জন্য ‘চাম্পিয়ান্স লাক’ এনে দিতে পারবে আল হিম? দেখা যাক।