নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Union Home Ministry) অভিযোগের ভিত্তিতে অক্সফাম ইন্ডিয়া এবং সংস্থার পদাধিকারীদের (Oxfam India and Its Office-Bearers) বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই (Central Bureau of Investigation – CBI)। বুধবার সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, বিদেশি অবদান (নিয়ন্ত্রণ) আইনের [Foreign Contribution (Regulation) Act, 2010 – FCRA] আওতায় এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, অক্সফাম ইন্ডিয়া বিদেশি অবদান আইন উল্লঙ্ঘন করেছে।
চ্যারিটেবল সংস্থা (Charitable Organization) অক্সফাম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন (FCRA Registration) বন্ধ (Ceased) হয়ে গেলেও, তারা বিদেশ থেকে আসা অর্থ তহবিলের (Foreign Funds) জন্য অন্যান্য উপায় অবলম্বনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা নিয়েছিল। এইভাবে তারা আইন উল্লঙ্ঘন করেছে। দায়ের হওয়া এফআইআরএ আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি যে আয়কর সমীক্ষা চালিয়েছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (Central Board of Direct Taxes – CBDT), তাতে হাতে কিছু ইমেইল (Email) এসেছে। সেখান দেখা গিয়েছে, অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া তার সহযোগী/কর্মচারীদের মাধ্যমে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ – সিপিআর (Centre for Policy Research – CPR)-কে কমিশন আকারে অর্থ তহবিল সরবরাহ করছে। টিডিএস ডেটাতেও (TDS Data) তা ধরা পড়েছে
আরও পড়ুন: WhatsApp | Animated Emojis | হোয়াটসঅ্যাপে অ্যানিমেটেড ইমোজি, তবে প্রয়োজন বিশেষ ডিভাইস
সিবিআই তদন্ত ও অক্সফাম
গত ৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল অক্সফাম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অভিযোগ ছিল, বিদেশি অবদান (নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন আইন ২০২০ [Foreign Contribution (Regulation) Amendment Act, 2020] লাগু হওয়া সত্ত্বেও অক্সফাম বিভিন্ন বিদেশি সংস্থাকে অর্থ হস্তান্তর করা জারি রেখেছিল। এখানে উল্লেখ্য, এই সংধোশনী আইন ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতে লাগু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, দাতব্য সংস্থা অর্থাৎ চ্যারিটেবল অর্গ্যানাইজেশন অক্সফাম ইন্ডিয়া (Oxfam, Charitable Organization) অন্যান্য এনজিও’কে (Non-Governmental Organisation – NGO) অর্থ পাঠিয়েছে। আর এইভাবে তারা এফসিআরএ ২০১০ আইন উল্লঙ্ঘন করেছে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (Central Board of Direct Taxes – CBDT) এই নিয়ে আইটি সমীক্ষা (IT survey) চালিয়েছিল। সেই সমীক্ষায় তাদের হাতে কিছু ইমেইল এসেছে। তা পর্যবেক্ষণ করে সিবিডিটি জানতে পেরেছে, এফসিআরএ নিবন্ধিত অন্যান্য সংস্থায় (FCRA-Registered Associations) অর্থ তহবিল পাঠিয়ে কিংবা লাভের উদ্দেশ্যে-পরামর্শমূলক পথে (For-Profit Consultancy Route) অর্থতহবিলকে চালিত (Routing Funds) করে অক্সফাম এফসিআরএ ২০১০ আইনের প্রবিধান উল্লঙ্ঘের পরিকল্পনা করছিল। মূল্য লক্ষ্য ছিল, কর ফাঁকি দেওয়া।
সিবিডিটি’র সমীক্ষায় এটাও উঠে এসেছে, অক্সফাম ইন্ডিয়া বিদেশি সংস্থার (Foreign Organizations / Entities) বিদেশি নীতির (Foreign Policy) সম্ভাব্য যন্ত্র (probable instrument) হিসেবে কাজ করেছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিদেশি সংস্থাগুলি অকুণ্ঠভাবে বছর পর বছর ধরে টাকা জুগিয়ে গিয়েছে অক্সফাম ইন্ডিয়াকে। আর তারপর অক্সফাম ইন্ডিয়া সেই অর্থ কৌশলে অন্যত্র চালান করেছে।
অক্সফাম ইন্ডিয়া সামাজিক কার্যক্রম (Social Activities) চালানোর জন্য নিবন্ধিত (Registered) একটি সংস্থা। তারা কমিশন (Commission) হিসেবে সহযোগী/কর্মচারীদের মাধ্যমে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের (Centre for Policy Research – CPR) কাছে অর্থ পাঠায়। এই সংক্রান্ত টিডিএস ডেটা বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সিপিআর’কে তারা ১৯৪জে ধারার (Section 194J) অধীনে ১২,৭১,১৮৮ টাকা দিয়েছে।