কলকাতা: ফের আদালতের তোপের মুখে রাজ্য সরকার (State Government)। পাঁশকুড়ায় (Panshkura) বোমা ফেটে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য পুলিশের রিপোর্ট দেখে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার ওই মামলার শুনানিতে বলেন, এমন রিপোর্ট ফাইল করেন কেন, যেখানে কিছুর উল্লেখ থাকে না।
আদালত সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের ওই রিপোর্টে মেদিনীপুরেরই (Medinipur) ভূপতিনগরের বিস্ফোরণ তিনজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়েছে। তবে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাঁশকুড়ার ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ওই মৃত্যু বোমা বিস্ফোরণে নয়, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
আরও পড়ুন: Md Selim: সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের কর্মসূচিতে যেতে বাধা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
রিপোর্ট দেখে ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench) প্রশ্ন তোলে, আইনজীবীর বক্তব্যের সমর্থনে কোনও কথা নেই রাজ্যের রিপোর্টে। রাজ্য সরকার সেই বক্তব্য জানানোর জন্য সময় চায়। আদালত জানায়, মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে। ওইদিন রাজ্য সরকারকে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
এ মাসের গোড়ায় কাঁথিতে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) সভা ছিল। তার দুদিন আগেই অদূরে ভূপতিনগরে এক ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে তৃণমূলের এক বুথ সভাপতি-সহ মোট তিনজনের মৃত্যু হয়। রাজকুমার মান্না নামে ওই তৃণমূল নেতার ঝলসানো দেহ মেলে বাড়ি থেকে খানিক দূরে। বাকি দুজনের দেহও ঝলসে গিয়েছিল। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, রাজকুমারের বাড়িতে বোমা বানানো হচ্ছিল। তা ফেটে তিনজন মারা যান। রাজকুমারের স্ত্রী জানান, তাঁর স্বামী বাড়িতে বাজি বানাচ্ছিলেন। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, অভিষেকের সভা বানচাল করার জন্যই বিজেপি চক্রান্ত করেছিল। ১ ডিসেম্বর পাঁশকুড়া (Panshkura) থানার গোডাউনে বিস্ফোরণ হয়। পুলিশের দাবি, প্রচণ্ড শব্দে বাইক সরাতে গিয়ে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা যান এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তারই রিপোর্ট দেওয়া হয় এদিন আদালতে।