নয়াদিল্লি: ভারত-চীন সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে আজ, বুধবারও উত্তাল হতে চলেছে সংসদ। অধিবেশন শুরুর আগেই সকালে কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা তথা দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ডাকে বিরোধীরা কৌশল রূপায়ণের বৈঠকে বসে। অন্যদিকে, বিরোধীদের আক্রমণের জবাব কী হবে, তা ঠিক করতে বিজেপির সংসদীয় দলও একটি বৈঠক করে। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা।
কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তেওয়ারি অরুণাচলের তাওয়াংয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চেয়ে একটি মুলতুবি প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়াও কংগ্রেসের গৌরব গগৈ পৃথক আরেকটি মুলতুবি প্রস্তাব এনেছেন। যাতে তিনি চীনের সঙ্গে সীমান্ত সম্পর্কের উদাহরণ টেনে প্রশ্ন তুলেছেন, এত কিছু সত্ত্বেও ভারতের চীন নির্ভরতার কারণ কী?
প্রসঙ্গত, অরুণাচলে ফের চীন-ভারত সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার মঙ্গলবার সংসদে জানায়, চীনা বাহিনীকে সমুচিত জবাব দিয়েছেন দেশের জওয়ানরা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চীনা আগ্রাসনের চেষ্টা রুখে দিয়েছে ভারত। লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, সংঘর্ষে কোনও সেনার মৃত্যু হয়নি। এমনকী গুরুতরভাবে জখমও হননি কোনও ভারতীয় জওয়ান। গত ৯ ডিসেম্বর ওই সীমান্ত সংঘর্ষের বিষয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে চীনের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান রাজনাথ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আমাদের সেনাবাহিনী।
যদিও বিরোধী দলগুলি সরকারের এই বক্তব্যে খুশি হয়নি। তারা বিতর্কিত সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনার দাবি তুলেছে। মঙ্গলবার সংসদ বসতেই বিরোধীদের বাধায় দুই কক্ষই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হইহট্টগোলে সভা মুলতুবি করতে বাধ্য হতে হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সভা বানচাল করার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেন। তাঁর দাবি, এদিন রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন নিয়ে আলোচনা এড়াতেই কংগ্রেস ইচ্ছে করে সভা ভণ্ডুল করতে চাইছে।