ইম্ফল: মণিপুরে (Manipur) নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস (Class) শুরু হল। তবে যেসব স্কুলে ত্রাণ শিবির রয়েছে সেগুলি এখনও বন্ধ। মণিপুরে ১২২৯টি স্কুলে নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি রয়েছে। তা বৃহস্পতিবার থেকে চালু হয়েছে। দুমাস বন্ধ থাকার পর এদিন থেকে পড়াশোনা (Study) চালু হয়েছে। মণিপুরের ডিরেক্টরেট অফ এডুকেশন (Directorate of Education) একথা জানিয়েছে। যেখানে আধা সেনাবাহিনী বা আশ্রয় শিবির রয়েছে সেগুলি এখনই চালু হচ্ছে না। প্রায় ১০০টি স্কুলে আশ্রয় শিবির রয়েছে। গত ৫ জুলাই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস চালু হয়। হিংসার জন্য যেসব ছাত্র ছাত্রী আশ্রয় শিবিরে রয়েছে তাদের বিনামূল্যে কাছের স্কুলে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
বিগত কয়েক মাস ধরে হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। তা নিয়ে উত্তাল হয়েছে দেশ। বিরোধী দলের নেতারা পরিদর্শন করে এসেছেন সম্প্রতি মণিপুর। মণিপুর ইস্যুতে দিনের পর দিন সংসদ অচল হওয়ার পর দুই কক্ষের বিরোধী দলের নেতাকে সুষ্ঠু আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভা শুরুর আগেই সরকারপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল, তারা মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি। কিন্তু, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলি প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সংসদ অচল করে দেয় রোজ। তার পরিপ্রেক্ষিতে লোকসভায় অমিত শাহ বলেন, তিনি দুই কক্ষের বিরোধী নেতাকে চিঠিতে জানিয়েছেন সরকারের আলোচনার সদিচ্ছার কথা।
আরও পড়ুন: দেশ মণিপুরের পাশে আছে, অবশেষে লোকসভায় আশ্বাস মোদির
দীর্ঘদিন মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। মণিপুরে শর্তসাপেক্ষে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করা হয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর বলেছে, পরিষেবা গ্রহণকারীদের এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা নিতে হবে। উল্লেখ্য, গত ৩ জুন মণিপুরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে রাজ্যে বন্ধ ছিল নেট পরিষেবা। এই প্রেক্ষিতে স্কুলে ক্লাস চালু হল।