নয়াদিল্লি: চিন্তা বাড়াছে দেশের ঊর্ধ্বমুখী কোভিড (COVID-19 ) সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় এক ধাক্কায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৪ হাজারেও বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Ministry of Health) রির্পোট বলছে, মঙ্গলবার দেশের দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৩০৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় তা অনেকটা বেড়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ফলে দু’দিনের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যায় প্রায় দেড় হাজারের তফাৎ। যা গত পাঁচ মাসে সর্বোচ্চ সংক্রমণ।
বুধবার সকালে শেষ ২৪ ঘণ্টার হিসাব দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাল, এক দিনে দেশে করোনা আক্রান্ত (Corona Infected) হয়েছেন ৪ হাজার ৪৩৫ জন। যা আগের দিনের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩ হাজার ৯১ জন। মোট আক্রান্তের ০.০৫ শতাংশ এখন অ্যাক্টিভ কেস। সুস্থতার হারও অনেকটাই। বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে এখন কোভিড সংক্রমণ মুক্তির হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। দৈনিক পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate) ৩.৩৮ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ২.৭৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: Sikkim Avalanche | তুষারধসে মৃতদের পরিচয় জানাল সিকিম সরকার
দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৯১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। মহারাষ্ট্র (Maharashtra) দিল্লি (Delhi), কেরলে (Kerala) কোভিড পরিস্থিতি ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে। মহারাষ্ট্র থেকে ৪টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, গুজরাত (Gujarat), হরিয়ানা, কর্নাটক, পন্ডিচেরি এবং রাজস্থান থেকে একজন করে ব্যক্তির মৃত্যু খবর মিলেছে। কেরল থেকে মিলেছে ৪ জনের মৃত্যুর খবর।
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ২২০ কোটি করোনার টিকা (Corona Vaccine) দেওয়া হয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ৯৭৯ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
গত কয়েকদিনে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ মাথা চাড়া দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। হুহু করে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। গত কয়েক দিনে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ আবার বেড়েছে। আর এর মধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসাবে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে। বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ইতিমধ্যেই নতুন করে করোনা সংক্রান্ত বিধি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করে দিয়েছে। বুস্টার ডোজ উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট (XBB.1.16 Variant) করোনা গ্রাফে বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মানুষকে সতর্ক করছেন এবং প্রত্যেককে মাস্ক পরতে বলছেন। কোনও উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে কোভিড টেস্ট করিয়ে নিন। যেসব রোগী গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্ট বিপজ্জনক হতে পারে। তাঁদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকেরা।