মঙ্গলবার সিপিএমের (CPM) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) কেরলে ক্ষমতাসীন বামেদের নেতৃত্বে রাজভবন (Raj Bhavan) অভিযানের সূচনা করলেন। লক্ষাধিক দলীয় সমর্থক নিয়ে এদিন চলছে রাজভবন অভিযান। সিপিএমের (CPM) তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এদিন জেলাগুলিতেও চলবে প্রতিবাদ।
তবে কেরলের (keral) রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান এখন দিল্লিতে রয়েছেন। আগামী ২০ নভেম্বর তিনি কেরলে ফিরবেন বলে রাজভবন সূত্রের খবর।
এদিন লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (LDF) রাজভবন অভিযানকে যেন অশান্তি না ছড়ায়, এজন্য রাজভবন সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রবীণ সিপিএম নেতা, সিপিআই নেতা-সহ অন্য বাম নেতারা রাজভবন অভিযানে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কর্মশিক্ষায় আপাতত কোনও নিয়োগ নয়, নির্দেশ আদালতের
সিপিএমের (CPM) অভিযোগ, বিজেপি (BJP) যে রাজ্যগুলিতে ক্ষমতাসীন সেখানে শিক্ষা ব্যবস্থার গৈরিকীকরণ করা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষাব্যবস্থা বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টাও চলছে। এজন্য সঙ্ঘ পরিবার সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির রাজ্যপালকে কাজে লাগাচ্ছে। কেরলের রাজ্যপালকে কাজে লাগিয়ে সেই একই কৌশল নিয়েছে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার (Sangh Parivar) । কেরলের রাজ্যপাল সঙ্ঘ পরিবারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা এদিন রাজভবন অভিযানে যোগ দেননি। কেরলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দিতে মন্ত্রিসভা অর্ডিন্যান্সও এনেছে। ওই অর্ডিন্যান্স সইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে রাজ্যপালের কাছে।
এর বিরোধিতায় রাজ্য বিজেপি কেরল হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে। রাজ্য বিজেপির প্রধান কে সুরেন্দ্র বলেছেন, অর্ডিন্যান্সে সই করানোর জন্য রাজ্যপালকে চাপ দিচ্ছে কেরলের লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের সরকার। এই উদ্দেশ্যেই বামেরা এদিন মিছিলের ডাক দিয়েছে। সরকারি কর্মীদেরও মিছিলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে।