কলকাতা: এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) । এখনও পর্যন্ত দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। তবে কার্যত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলই। এই প্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক অধিকার অর্থাৎ ভোটদানের অধিকার সুরক্ষিত করতে পাঁচ সংগঠনের ডাকে কলকাতায় (Kolkata) মিছিল হল। শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষহীন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে মৌলালি মোড়ে বৃহস্পতিবার জমায়েত করেন মিছিল সমর্থনকারীরা। জমায়েতের পর এই মিছিলটি এজেসি বোস রোড ধরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যায়। রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের দফতরে কয়েকটি দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
ওই মিছিলের অন্যতম উদ্যোক্তা বাংলা সংগঠনের পক্ষে কুশল দেবনাথ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের এলাকা দখলের আশঙ্কা রয়েছে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা যা দেখেছি ২০২৩ সালে নির্বাচন আর দেখতে চাই না।। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল শক্তি বাড়িয়েছে। এলাকায় এলাকায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছাড়াতে পারে। উভয় আশঙ্কা থেকে রক্তপাত যাতে না হয় ও ভোট প্রয়োগের অধিকার যাতে সঠিকভাবে করা যায় তার জন্য রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে আগাম সতর্ক করতে এই ডেপুটেশন। মিছিলে ছিলেন এপিডিআরের পক্ষে সুজাত ভদ্র।
আরও পড়ুন: Weather Breaking | কলকাতায় মুষলধারে বৃষ্টি! ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটার তালিকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আগেই। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের পরামর্শমতো ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। বহু প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ঢোকানো হয়েছে বহু ভুতুড়ে ভোটারের নাম। এই তালিকা অনুযায়ী পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে না। তিনি টুইট করে লেখেন, যেখানে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লক্ষ কমে গিয়েছে, সেখানে ২০১৮ সালের তুলনায় এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে বেশ কয়েক লক্ষ। ভোটার তালিকার পাশাপাশি শুভেন্দুর আরও দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। কংগ্রেসও মনে করে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রাজ্য পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানো ঠিক হবে না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হলেই কংগ্রেস আদালতের দ্বারস্থ হবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্বাবধানে পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে। রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করালে তা ২০১৮ সালের ভোটের মতো প্রহসনে পরিণত হবে।