নয়াদিল্লি: কংগ্রেস হোক কিংবা সমাজবাদী পার্টি- একটি পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকা রাজনৈতিক দলগুলি গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে ফের মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ পাশাপাশি ‘ফেক’ সমাজবাদীদের নিশানা করে তিনি বলেন, ‘পাঁচ রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপির সরকার তৈরি হবে৷’
আগামীকাল উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফা নির্বাচন৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যের ৫৮টি আসনে ভোটগ্রহণ৷ তার আগে সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা ইস্যুতে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী৷ বারবার তাঁর মুখে শোনা গেল ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’-এর কথা৷ মোদি জানান, তিনি এবং তাঁর সরকার এই মন্ত্রেই বিশ্বাসী৷ ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ..’ জড়িয়ে রয়েছে এমন কাজই তাঁর সরকার করে৷ বলেন, ‘সরকারের কাজ হল গরিবের অন্নের সংস্থানের কথা চিন্তা করা৷ তাদের জন্য বাড়ি, শৌচালয়, পরিশ্রুত পানীয় জল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাস্তা এগুলি তৈরি করা৷ প্রান্তিক কৃষকদের হাতে উৎপাদিত ফসলের বাজার তৈরি করা আমার কর্তব্য৷’ এরপরই ফেক সমাজবাদের প্রসঙ্গ তোলেন নমো৷ বলেন, ‘এগুলো যদি সমাজবাদ হয় তাহলে আমি মেনে নেব৷ কিন্তু যখন আমি ফেক সোশ্যালিজমের কথা বলি তখন পরিবারবাদকে বোঝাই৷ লোহিয়াজি, জর্জ ফার্নান্ডেজ এবং নীতীশ কুমারের পরিবারকে দেখেছেন? এটা হল সোশ্যালিস্ট৷’

৭০ মিনিটের সাক্ষাৎকারে বিরোধীদের তুলোধনা করতে ছাড়েননি মোদি৷ পরিবারতন্ত্র নিয়ে ফের একবার পরিবার নিয়ন্ত্রিত জাতীয় এবং আঞ্চলিক দলগুলিকে আক্রমণ করেন তিনি৷ বলেন, ‘পরিবারতন্ত্রই হল গণতন্ত্রের সবথেকে বড় শত্রু৷ কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বিহার, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু- সব জায়গাতেই একটি পরিবারের নিয়ন্ত্রণেই চলে দল৷ একটি পরিবার থেকে একাধিক ব্যক্তি তাদের যোগ্যতায় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এবং যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও একই পরিবারের সদস্যরা দশকের পর দশক ধরে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ আঁকড়ে পড়ে থাকা দুটোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে৷’
আরও পড়ুন: PM Modi: যোগী জমানায় রাতের বেলাতেও মেয়েরা বাইরে বেরতে পারে: মোদি
আগামিকাল থেকে সাত দফায় পাঁচ রাজ্যের ভোটগ্রহণ শুরু হবে৷ প্রথম দফায় কেবল উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন রয়েছে৷ এর পরের দফাগুলিতে পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুরে ভোট সম্পন্ন হবে৷ পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফল কেমন হবেন সেটাও জানান মোদি৷ বলেন, ‘ওই সব রাজ্যে বিজেপির প্রতি মানুষের সমর্থন রয়েছে৷ নির্বাচনে আমরাই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতব৷ পাঁচ রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে পুনরায় ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দেবে৷ আমরা সরকারে থাকলে সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্র নিয়ে কাজ করি৷’ তাঁর মতে, ওই পাঁচ রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী নয়, প্রতিষ্ঠানের পক্ষে হাওয়া বইছে৷