নয়াদিল্লি: সিবিআইয়ের পর এবার ইডির জেরার মুখে পড়তে পারেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া৷ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটির বিরুদ্ধে আফগারি নীতি কাণ্ডে অর্থ তছরুপের মামলা করতে পারে ইডি৷ এই দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবারই মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই৷ রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ সেই তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সিবিআই দিয়েছে ইডিকে৷ এফআইআরের একটি প্রতিলিপিও প্রকাশ করে তারা৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, এই মামলায় তদন্তের ভার রয়েছে ইডির উপরেও৷
আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে দিল্লির মদ বিক্রেতাদের বেআইনিভাবে অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মণীশের বিরুদ্ধে৷ এফআইআরে সিবিআই জানিয়েছে, ওই নীতি কার্যকর করার ক্ষেত্রে যাদের অনুমতি নেওয়ার দরকার ছিল সেটাই নেয়নি দিল্লি সরকার৷ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী ছাড়া এফআইআরে নাম রয়েছে আরও ১৩ জনের৷ এঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করে সিবিআই৷ সবার বিদেশযাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ এফআইআরে নাম রয়েছে মণীশ ঘনিষ্ঠ মদবিক্রেতা সমীর মাহেন্দ্রুর৷ অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে মণীশ দু’বার কোটি টাকা নিয়েছেন৷ সিবিআইয়ের তল্লাশির পর শনিবার মুখ খোলেন মণীশ৷ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে৷ কেজরিওয়ালের সাফল্যে ভয় পেয়েছে৷ তাই দিল্লি সরকারকে দুর্বল করতে চাইছে৷’
এদিন লুক আউট সার্কুলার জারির পরেও বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদিকে একহাত নেন মণীশ৷ টুইট করে লেখেন, ‘আপনার সব অভিযান ব্যর্থ হয়েছে৷ কিছু পাওয়া যায়নি৷ এবার লুক আউট নোটিশ জারি করেছেন, মণীশ সিসোদিয়াকে না কি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ এটা কোন ধরনের নাটক মোদিজি? আমি দিল্লিতেই স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি৷ বলুন কোথায় যেতে হবে৷’