কলকাতা/চুঁচুড়া: জলের বোতলে স্যানিটাইজার (Sanitizer)! এমনটাও আবার হয় নাকি? কিন্তু সেই কাণ্ডই ঘটেছে। নামি বিপণি (Reputed Market) থেকে কেনা বোতলবন্দি জল (Package Drinking Water) খেতে গিয়ে বিপত্তি। অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে (Private Hospital) ভর্তি আশি বছরের বৃদ্ধ (Elderly Man)। মারাত্মক এই ঘটানাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার তালডাঙ্গায়। জলের বোতলে স্যানিটাইজার ভরে বিক্রির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট বিপণির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের (Complaint Registered) করেছেন বৃদ্ধের ছেলে মেহতাবুল হক।
চুঁচুড়ার তালডাঙ্গার বাসিন্দা ৮০ বছরের কাজী মনসুরুল। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি হার্টের সমস্যায় (Heart Disease) ভুগছেন। গত শনিবার (৯ এপ্রিল) রুটিন চেকআপের (Routine Check-up) জন্য বাড়ি থেকে কলকাতার (Kolkata) উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন তিনি। বাড়ির কাছেই একটি নামি বিপণি থেকে ৫০০ মিলিলিটারের (500ml) একটি জলের বোতল কেনেন তার ছেলে মেহতাবুল হক। স্ক্যান করে, বিল দিয়ে জলের বোতলটি বিপনি থেকে বিক্রি করা হয়েছিল। আর সেই বোতলের জল খেয়েই এই বিপত্তি। বোতল খুলে কিছুটা খাওয়ার পর বুঝতে পারেন, গলা থেকে জ্বালা শুরু হয়েছে। এরপর, গন্ধ শুঁকে মনে হয়, এ তো জল নয়! বোতলে রয়েছে স্যানিটাইজার! শেষ পর্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ারে (Critical Care) ভর্তি হন কাজী মনসুরুল।
আরও পড়ুন: সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে গোকুলমকে উড়িয়ে দিল মোহনবাগান
স্যানিটাইজার বা স্পিরিট জাতীয় কিছু খেয়ে ফেললে মারাত্মক বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এনিয়ে হামেশাই সতর্ক করা হয়। স্যানিটাইজার ব্যবহারের চল অনেক আগে থেকেই দেশে রয়েছে ঠিকই, কিন্তু করোনা পর্বে (Corona Pandemic) স্যানিটাইজার ব্যবহারের চল ঘরে ঘরে পৌঁছেছে। প্রায় প্রত্যেকেই স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছেন। আর এসম্পর্কিত সতর্কতাও (Warning) জেনেছেন। ছোট বাচ্চাদের থেকে এই কারণেই স্যানিটাইজার দূরে রাখতে বলা হয়। যাতে তারা মুখে না দিয়ে ফেলে। এদিকে চুঁচুড়ার তালডাঙ্গার বাসিন্দা কাজী মনসুরুল বয়স যেহেতু ৮০ বছর, তাই আরও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়টি। যদিও ক্রিটিক্যাল কেয়ার থেকে এখন জেনারেল বেডে (General Bed) দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু দীর্ঘদিন চিকিৎসা (Treatment) প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসক (Doctor)।
আগেই বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধের ছেলে মেহতাবুল হক। তদন্ত (Investigation) শুরু করেছে পুলিশ। বোতলটিতে ঠিক কী ধরনের তরল (Liquid) ছিল, তা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষার (Forensic Examination) জন্য পাঠানো হয়েছে।
তবে বার্তা এটাই, যেখান থেকেই পানীয় জল বা তরল জাতীয় জিনিস কিনুন না কেন, বোতলের ছিপির (Bottle Cap) সিল বন্ধ কিনা (Sealed or Not), অবশ্যই যাচাই (Check) করে নেওয়া প্রয়োজন।