গুয়াহাটি: দ্বিতীয় ইনিংসের ১১ নম্বর ওভারের শেষ বল। নাথান এলিসকে মিড অফের উপর দিয়ে ছয় মারতে গেলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। বল মাঠ পেরল না, বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়লেন তিনি। ওখানেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে যায়।
না, একটু ভুল হল। ম্যাচের ভবিষ্যৎ আসলে ম্যাচের প্রথম ইনিংসের ওপেনিং জুটিতেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। প্রভশিমরন সিং ৩৪ বলে ৬০ করলেন। আর শিখর ধাওয়ান করলেন ৫৬ বলে বলে অপরাজিত ৮৬ রান। বুড়ো হাড়ে ভেলকির এর থেকে ভালো উদাহরণ পাওয়া মুশকিল। ভারতীয় দলে তিনি ব্রাত্য। তাঁর ওপেনিং পার্টনার এখন দেশের অধিনায়ক। শিখর আর সুযোগ পান না। শুভমান গিল, কে এল রাহুলদের বিভিন্ন ফর্ম্যাটে খেলানো হয়। আইপিএলে নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন, ওপেন করছেন। সবমিলিয়ে উপভোগ করছেন।
শেষের দিকে শিমরন হেটমায়ার এবং ধ্রুব জুরেল চেষ্টা করেছিলেন। টেনশনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ ওভারে স্যাম কারেন সামলে নেন। পাঁচ রানে জিতল পঞ্জাব। তবে এখনও পর্যন্ত সবথেকে উপভোগ্য ম্যাচ এটাই।
আরও পড়ুন: IPL 2023 | KKR vs RCB | ব্যক্তিগত নৈপুণ্য নয়, ইউনিট হিসেবে খেলব, জানালেন কেকেআর কোচ
অসম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে রাজস্থানের সম্পর্ক অনেকদিনের। পাঁচ বছর আগে এখানে তাদের অ্যাকাডেমি গড়েছিল রয়্যালরা। এছাড়াও সরাসরি সম্পর্ক একটা আছেই, রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন অসমের একমাত্র ক্রিকেটার রিয়ান পরাগ (Riyan Parag)। আজ প্রথমবার ঘরের মাঠে পরিবার এবং রাজ্যবাসীর সামনে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। বাড়তি তাগিদ থাকবেই। তা স্পষ্টই চোখে পড়ল তাঁর ব্যাটিংয়ে। কিন্তু আকাশ ছুঁতে থাকা আস্কিং রান রেটের চাপে উইকেট হারালেন তিনি। ১২ বলে ২০ রান করে গেলেন।
আরসিবি থেকে রাজস্থানে যাওয়া দেবদূত পাড়িক্কাল একেবারেই ফর্মে নেই। এদিন ২৬ বলে ২১ রান করে আউট হলেন। তাঁর মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্যই বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন সঞ্জু। প্রশংসা করতে হবে পঞ্জাবের বোলারদের। এদিন শিশিরের সমস্যা ছিল, তা সামলে ঠিক জায়গায় বল রাখলেন তাঁরা। তবে এদিনের নায়ক অবশ্যই নাথান এলিস। এই আইপিএলের আগে খুব কম লোক তাঁর নাম শুনেছিল। বোলিং রান-আপ খানিকটা জশ্রপ্রীত বুমরার মতো। ভালো স্লোয়ার আছে, ব্যাটারদের ঠকাতে পারেন। এদিন বাটলার, স্যামসন, পাড়িক্কল এবং পরাগকে তিনিই আউট করলেন। চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে চার উইকেট নিলেন এলিস। তার মধ্যে শেষ ওভারে দিলেন ১৬।