রাষ্ট্রপুঞ্জ: কড়া অবস্থান নিল ভারত (India)। নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানের সুবিধার্থে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে ভাল বা মন্দ এইভাবে আলাদা করা অনুচিত। আগামী ১৫ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (Utnited Naions) মানবিক সাহায্যের নামে দেওয়া অনুদানের সুবিধা নিচ্ছে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী (Terrorist Group) । আর সেকারণেই “নিষিদ্ধ” সংগঠনগুলির মানবিক সহায়তার উপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য নিরাপত্তা পরিষদে (Security Council) আনা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিতে অংশ নিল না নয়াদিল্লি।
শুক্রবার নিষিদ্ধ সংগঠনগুলির (Banned Organisation) মানবিক সহায়তার উপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করে আমেরিকা ও আয়ারল্যান্ড। ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তাবটিকে সমর্থন করে ১৪টি সদস্য দেশ। একমাত্র ব্যতিক্রম নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জ স্থায়ী প্রতিনিধি তথা নিরাপত্তা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি ভারতের তরফে রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj) নয়াদিল্লির এই অবস্থান ব্যাখ্যা করে স্পষ্ট জানান, লস্কর-ই-তইবার মতো জেহাদি সংগঠনগুলি মানবিক সাহায্যের ফায়দা তুলছে। এটা সবার জানা. তাই এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সমস্ত দিক ভেবে নেওয়া উচিত।
ভারতের দাবি, “বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত গোষ্ঠীগুলিকে নিষিদ্ধ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপু্ঞ্জের সংশ্লিষ্ট কমিটির সন্দেহজনক> তালিকায় থাকা সংগঠনগুলিকে মানবিক সাহায্যের কাজে অনুমতি দেওয়ার আগে যথাযথ সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন।” প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে রুচিরা জানিয়ে দেন, “রাষ্ট্রপু্ঞ্জের ১২৬৭ কমিটির সন্দেহজনক তালিকায় থাকা বেশকিছু সংগঠন যে কয়েকটি রাষ্ট্রের মদত পায় তা আমরা জানি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেগুলি সন্ত্রাসবাদী হিসাবে চিহ্নিত।”
উল্লেখ্য, পাকিস্তান (Pakistan) আর আফগানিস্থানে মানবিক সাহায্যের নামে প্রচুর অনুদান আসে। ভারতের অভিযোগ, সেই টাকার অনেকটাই চলে যায় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির হাতে। ইজরায়েলের () সঙ্গে লড়াইয়ের পর গাজায় নিজেকে ফের শক্তিশালী করে তুলতে ত্রাণে আসা অর্থ ছিনিয়ে হাতিয়ার কেনার চেষ্টা করছে হামাস বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এহেন পরিস্থিতিতে ভারতের নির্দিষ্ট ওই অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্য্পূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।