কাঁথি: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Opposition Leader) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) কনভয়ের ধাক্কায় মৃত যুবকের পরিবারকে চেক তুলে দিল তৃণমূল। মৃত ইসরাফিল শেখের (Israfil) পরিবারকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পাঠানো ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন স্থানীয় বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। এদিকে দুর্ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে চন্ডীপুর থানার (Chandipur PS) পুলিশ শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের চারজনকে নোটিশ (Notice) পাঠাল। মহেন্দ্র সিং (সিকিউরিটি ইনচার্জ), প্রসেনজিৎ ঘোষ (পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার) কনস্টেবল মুকেশ কুমার এবং কনস্টেবল রঞ্জিতকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে এই অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদে একঝাঁক রাজ্য নেতা সহ তৃণমূলের (TMC) দুই জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে চন্ডীপুর ও কাঁথিতে দলীয় অনুষ্ঠান হল। কাঁথিতে মেচেদা বাইপাস (Mecheda) থেকে শুরু করে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড হয়ে কলেজ রোড দিয়ে শান্তিকুঞ্জের সামনে দিয়ে মিছিল হয়। নেতৃত্বে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ মাইতি, পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক সহ জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য তৃণমূলের পাশাপাশি সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে এই অমানবিক ঘটনার তীব্র ধিক্কার ও নিন্দা করেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন মৃত ইসরাফিলের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা সাহায্য করবেন। সেই মতো উত্তরে জন জোয়ারে থাকলেও বিশেষ নজর যে রয়েছে শুভেন্দুর জেলা পূর্বে মেদিনীপুর তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। শনিবার রাতে চন্ডীপুর এলাকার বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী সহ প্রাক্তন বিধায়ক অমিয় ভট্টাচার্য, জেলা যুব তৃনমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি সহ স্থানীয় ব্লক নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে ইসরাফিলের পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।
আরও পড়ুন: Thief Jumped into The Ganga | পুলিশের হাত ছাড়িয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ চোরের, কী হল তারপর জেনে নিন
সোহম চক্রবর্তী বলেন, আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কারণ হলো পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন ইসরাফিল। শুভেন্দু অধিকারী যদি একটু মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতেন তাহলে হয়তো এই ছেলেটা বাঁচতেও পারতেন। ওই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছিল, কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হওয়ার পরে কেন কনভয় থামানো হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীতে শুভেন্দু অধিকারী কেন ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন না? উল্লেখ্য, কনভয়ের ধাক্কায় ওই যুবকের মৃত্যুর পরে পথ অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলও। ওই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়।