মেদিনীপুর: ফের জঙ্গলমহল সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ১৬ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল মাঠে প্রসাশনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)। তাই সাত দিনের নোটিসে প্রশাসনের অনুরোধে বন্ধ হল ‘ট্রেড ফেয়ার’। রাত জেগে শুরু হল রাস্তা ও সভামঞ্চ তৈরির কাজ।
জানা গিয়েছে, চার দিন আগে হঠাৎ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে নির্দেশ আসে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা ও পরিষেবা বিলির মঞ্চ তৈরি করতে হবে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল মাঠে। সেই মতো প্রস্তুতি করতে গিয়ে প্রবল চাপে পড়ে প্রশাসন। এই সভায় সরকারি পরিষেবা বিলি করবেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সময়ে মেদিনীপুরে চলবে উরস উৎসব। তার তোড়জোড়ও চলছে। এই সাঁড়াশি চাপের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর সফর। ফলে দ্বিগুণ চাপে রয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
আরও পড়ুন: JP Nadda: পূর্বস্থলীর মন্দিরে রাজ্যে শান্তি স্থাপনের প্রার্থনা নাড্ডার
করোনা পর্বের দু’বছর পর মেদিনীপুরের ওই মাঠে সবে শুরু হয়েছিল ট্রেড ফেয়ার ও হস্তশিল্প মেলা। পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্সের পক্ষ থেকে প্রায় ৭০টি স্টল নিয়ে জমে উঠেছিল মেলা। ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই মেলা চলার কথা ছিল। কিন্তু, প্রশাসনের অনুরোধে একদিন আগেই সেই মেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আয়োজকরা।
মেলার এক উদ্যোক্তা চন্দন বসু জানান, করোনার দাপট কাটিয়ে এই বছর মেলা জমে উঠেছিল। ব্যবসাও বেশ ভালোই হচ্ছিল। বৃহত্তর স্বার্থে প্রশাসনের অনুরোধে একদিন আগেই মেলা শেষ বলে ঘোষণা করতে হয়েছে আমাদের।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে বেশ কয়েক দফায় সভাস্থলের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে প্রশাসনের। ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হেলিকপ্টারে মেদিনীপুরে হাজির হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পরিষেবা বিলি সম্পন্ন করে, হেলিকপ্টারে করে রওনা দেবেন পুরুলিয়ার উদ্দেশে। সেখান থেকে ফের বাঁকুড়াতে পরিষেবা বিলি কর্মসূচিতে উপস্থিত হবেন। উল্লেখ্য, আজ রবিবার পুরুলিয়াতে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
মেদিনীপুরে সময়ের মধ্যে সভামঞ্চ তৈরি করতে হবে। তাই বহু কর্মী রাত জেগে তৈরি করছেন ছাউনি, সভামঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের জন্য দুটি হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে। একটি সভা মঞ্চের পিছনে হবে, অপরটি সভাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে থাকবে। ফলে সংযোগকারী রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করেছে পুরসভা।
শনিবার গভীর রাতেও তদারকিতে দেখা গিয়েছে পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের। এদিন সৌমেন খান জানান, মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক উরস উৎসবের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। চাপের মাঝে কাজ শেষ করতে হবে। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা সহ মঞ্চ ও অন্যান্য কাজ করা হচ্ছে।
প্রবস্থলী থান্র মাঠে নামল হেলিকটার