ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম (Jhargram) ব্লকের গড় শালবনির (Shalboni) ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের গড় শালবনি এলাকায় পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়কের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তৃণমূলে নবজোয়ার (Nabojoyar) কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় বিক্ষোভ দেখায় কুড়মি (Kurmi) সমাজের মানুষজন। সেই সঙ্গে তার কনভয়ের সঙ্গে থাকা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার (Birbaha Hansda) গাড়ি ভাঙচুর করে। সেই সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ওই ঘটনায় আহত হয়েছে বলে অভিযোগ। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপারের কাছে ওই ঘটনার রিপোর্ট তলব করে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ মামলা দায়ের করে। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ওই ঘটনায় কুড়মি সমাজের নজন নেতা সহ আরও বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয়ের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। তার মধ্যে শনিবার মোট চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের এদিন ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়।
ঝাড়গ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) যাত্রাপথে কুড়মিদের বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম ঘটে শুক্রবার রাতে। দহিঝুড়ি থেকে অভিষেকের গাড়ি শালবনির (Shalboni) দিকে চলে যাওয়ার পরই বাকি গাড়িগুলির উপর হামলা চালায় কুড়মি (Kurmi) সমর্থকরা। অভিযোগ, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার (Birbaha Hansda) গাড়িতে ঢিল ছোড়া হয়েছে। একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। তৃণমূল (TMC) সমর্থকদের বাইক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাঁশ, রড নিয়ে হামলা চালানো হয়। আক্রান্ত হয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। ইটের আঘাতে মন্ত্রী বীরবাহার গাড়ির চালকের চোখ গুরুতর জখম হয়। গাড়ি থেকে নেমে বীরবাহা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, এটা জনজাতি আন্দোলন নয়। আন্দোলনের নামে নোংরামি করছে কুড়মিরা। আমরাও জনজাতির আন্দোলন করেছি। আজকে যে নির্লজ্জ হামলা হল, কুড়মি আন্দোলনের নেতাদের তার দায় নিতে হবে।
আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট ৮ বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীর
এই ঘটনার পর তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই বিক্ষোভে ইন্ধন রয়েছে বিজেপির। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলের উস্কানিতেই কুড়মিরা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বাড়ি ঘেরাও করেছিল সম্প্রতি।