শিলিগুড়ি: হোলির জন্য(Holi Festival) দুদিন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে গরুমারা (Gorumara), চাপড়ামারি (Chapramari) এবং নেওড়াভ্যালির (Neoravaley) জঙ্গল। জঙ্গলের (Forest) ভেতরে পর্যটকদের (Tourist) প্রবেশাধিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ওই দুই দিন। সাত এবং আট মার্চ পর্যটকরা জঙ্গলের ভিতরে কোনওরকম জিপসি সাফারি (Gypsy Safari) করতে পারবেন না। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য জঙ্গলের ভেতরে যে সমস্ত থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে সেগুলিও বন্ধ রাখা হচ্ছে। গরুমারা (Gorumara) বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও (DFO)-র তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হোলির সময় এক শ্রেণির অসাধু মানুষের মধ্যে শিকার উৎসবে শামিল হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। অনেকেই এই সময় জঙ্গলের ভেতরে ঢোকে শিকার করার উদ্দেশ্যে। কাজেই পর্যটকদের আড়ালে কোনও অসাধু ব্যক্তি যাতে এই কদিন জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য এই দুদিন জঙ্গল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Child Death: বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ছয় শিশুর মৃত্যু
বনদফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বনবস্তির বাসিন্দাদের নিয়ে সচেতনতামূলক একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে এই উৎসবের দিনগুলি শুধুমাত্র রঙের মাধ্যমেই পালন করেন সেই কথাও তাঁদের বোঝানো হচ্ছে। ডুয়ার্সের প্রত্যেকটি জঙ্গলে নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। চলছে বনদফতরের কর্মীদের টহলদারি।
তবে জঙ্গল বন্ধের সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ ডুয়ার্সের গরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন মূর্তি জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, জলদাপাড়া অভয়ারণ্য পর্যটকদের জন্য খোলা রয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কেন গরুমারা, চাপড়ামারি বন্ধ করা হলো। যদি বন্ধ করতেই হয় তবে সব জঙ্গল একসঙ্গে বন্ধ করা উচিত। তবে জঙ্গলে যাতে কোনওভাবেই আর শিকার না হয় সেই দিকে কড়া নজর রয়েছে বনদফতরের।