দত্তপুকুর: বিস্ফোরণের (Explossion) তীব্রতায় ১৫ ফুট উপরের চালের মধ্যে লাফিয়ে উঠেছে দেহ (Dead Body)। ঝলসে যাওয়া শরীরটা সেখানে নিথর হয়ে পড়ে। পোশাক পুড়ে গিয়েছে। কালো ছোপের মধ্যে মুখ চেনার উপায় নেই। বাড়ির দেওয়াল ভেঙে চৌচির। বিস্ফোরণের তীব্রতায় দেওয়ালগুলি খান খান হয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল যে নীলগঞ্জ (Nilganj) থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বারাসত (Barasat) শহরেও আওয়াজ শোনা গিয়েছে। চারিদিকে ভাঙা দেওয়াল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। উপরে চালের মাথা খাঁ খাঁ খরছে। রবিবার বিস্ফোরণের পর এরকমই ভয়ানক ছবি দেখা গেল নীলগঞ্জের বিস্ফোরণ স্থলে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে মৃতদেহ। ভাঙা দেওয়ালের টুকরো দিকে দিকে। চারিদিকে কৌতূহলী মানুষের ভিড়। জটলা। তারই মধ্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকে।
এগরার পরে এবার উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ৷ নীলগঞ্জে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের জেরে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান৷ গুরুতর আহত বহু৷ শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল যে, মৃতদেহ পাশের দোতলা বাড়ির চিলেকোঠায় উঠে গিয়েছিল বলে জানালেন এলাকার বাসিন্দারা৷ বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েক মিটার দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত দেহ৷ স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান বারাসতের নীলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা৷ এলাকার খুদে নামের এক বাজি ব্যবসায়ীর কারখানায় এই বিস্ফোরণ হয় বলে জানা গিয়েছে৷ উড়ে যায় তার কারখানার বাড়ির ছাদ৷ চতুর্দিকে ছড়িয়ে যায় বারুদ-সহ বাজি বানানোর অন্যান্য সরঞ্জাম৷ এদিক ওদিকে ছড়িয়ে পড়ে রক্তাক্ত দেহ৷
আরও পড়ুন: সাত সকালে রক্তে ভাসল পার্ক-সার্কাস সেভেন্ট পয়েন্টে
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। আনা হয় ব়্যাফ (RAF)। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এদিকে, এই ঘটনার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের সামনেই চলে প্রবল বিক্ষোভ। বাজি কারখানা থেকে এখনও পর্যন্ত ৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণের জেরে কমপক্ষে ১৫-২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বিস্ফোরণের জেরে বেশ কয়েকটি দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছে। জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিন শিশুও গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।