থানা নিষিদ্ধ এলাকা নয়। যে কোনও সাধারণ নাগরিক থানায় ঢুকে দরকারে মোবাইল ফোনে (Mobile Phone) ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে পারেন। এটা কোনও অপরাধের পর্যায়ে পড়ে না। অফিসিয়াল সিক্রেসি আইনানুসারেই বিষয়টি অপরাধ নয়। এই অভিমত বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের। অন্যদিকে, দিল্লির সিবিআই (Cbi) আদালতের বিশেষ বিচারক নরেশ কুমার লাকা জানিয়েছেন, কোনও ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁর মোবাইল, কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড পুলিশকে জানাতে বাধ্য নন। যদি পুলিশ তা জানার চেষ্টা করে তা মৌলিক অধিকার হরণের শামিল।
চলতি বছরের জুলাইয়ে আদালত থানায় ঢুকে মোবাইলে (Mobile) ভিডিয়ো রেকর্ডিং করার একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে। রবীন্দ্র উপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি ২০১৮ সালে থানায় ঢুকে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন। এজন্য তাঁর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্টে পুলিশ মামলা দায়ের করে। এরপর বম্বে হাইকোর্টও জানিয়ে দেয়, থানার ভিতরে প্রয়োজনে কোনও সাধারণ নাগরিক মোবাইলে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করলে তা কোনওভাবেই অপরাধ নয়।
আরও পড়ুন Nisith Pramanik: সিতাইতে নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় লক্ষ্য করে কালো পতাকা:
একইসঙ্গে দিল্লির (Delhi) সিবিআই আদালতের বিশেষ বিচারক নরেশ কুমার লাকা জানিয়েছেন, কোনও অভিযুক্ত তাঁর ইলেকট্রনিক ডিভাইসের পাসওয়ার্ড তদন্তকারী অফিসারদের জানাতে বাধ্য নন। যদি তদন্ত চলাকালীন পাসওয়ার্ড আদায়ের জন্য পুলিশ অভিযুক্তকে চাপ দেয়, তবে তাও সংবিধানের পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্তের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের পাসওয়ার্ড আদায়ের জন্য আদালতের অনুমতি পেতে দিল্লির একটি সিবিআই (Cbi) আদালতে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, বম্বে হাইকোর্ট এবং দিল্লির সিবিআই আদালত নাগরিক অধিকারের পক্ষেই রায় দিয়েছে সাংবিধানিক অধিকারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে।
 ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে পারেন। এটা কোনও অপরাধের পর্যায়ে পড়ে না। অফিসিয়াল সিক্রেসি আইনানুসারেই বিষয়টি অপরাধ নয়। এই অভিমত বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের। অন্যদিকে, দিল্লির সিবিআই (Cbi) আদালতের বিশেষ বিচারক নরেশ কুমার লাকা জানিয়েছেন, কোনও ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁর মোবাইল, কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড পুলিশকে জানাতে বাধ্য নন। যদি পুলিশ তা জানার চেষ্টা করে তা মৌলিক অধিকার হরণের শামিল। ){kind=link}