কলকাতা: খড়গপুর (kharagpur) আইআইটির (IIT) ছাত্র (Student) ফইজান আহমেদের মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে বিশিষ্ট ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এ কে গুপ্তের মতামত জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে জানিয়েছে, ওই ছাত্র আত্মহত্যাই করেছেন। এই রিপোর্ট নিয়ে কোনও মতামত না দিলেও তা নিয়ে সন্দিহান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, এই মামলার যাবতীয় নথি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ কে গুপ্তর কাছে পাঠাতে হবে।
এদিকে আইআইটির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মৃত্যুতে প্রতিষ্ঠানের কোনও দায় নেই। তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়েরের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আইআইটি। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় সাত ছাত্রের বিরুদ্ধে র্যা গিংয়ের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে। আদালত সোমবার নতুন করে হলফনামা দিয়ে আইআইটিকে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছে। মামলার পরবর্তী শুনানি তিন সপ্তাহ পর।
এদিন আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে র্যা গিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও আইআইটি কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
ফইজান আহমেদ নামে ওই ছাত্র গরমের ছুটিতে বাড়িতে না গিয়ে হস্টেলেই ছিলেন। ৭০টি জায়গায় আবেদন করার পরেও কোথাও চাকরি পাননি তিনি। অথচ তাঁর বন্ধুরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এই অবসাদেই তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করের। কোনও মারামারির ঘটয়ান ঘটেনি। বিচারপতি বলেন, এখন আর একবারের ময়নাতদন্তে ভরসা করা যাচ্ছে না।
আইআইটির আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র বলেন, খুনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। র্যা গিংয়ের জন্য এই ঘটনা ঘটেনি। আইআইটির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চলছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ধরনের ঘটনা না ঘটে, আইআইটির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তার জন্য কী পদক্ষেপ করা যায়, তারও সুপারিশ করেছে।