ভাঙর: ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলনে নামা সরকারি কর্মীদের (State Government Employees) উদ্দেশে এবার হুমকি ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের (TMC Leader kaizer Ahmed)। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বুধবার একটি জনসভায় কাইজার আহমেদ বলেন, এদের আর পোষায় না। এরা কিন্তু আবার ভোট করাতে আসবে। এরপরই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কাইজার বলেন, যাঁরা প্রিসাইডিং অফিসার হন, তাঁরাই কিন্তু এই লোক। আজ যাঁরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন ভাতা দাও, ডিএ দাও, হ্যান দাও, ত্যান দাও বলে। বলছে, ভাতা না দিলে ভোট করতে যাব না।
এরপরই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কাইজারের নির্দেশ তাঁদের চাপে রাখাতে হবে। ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের ডিস্টার্বগিরি মেনে নেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফেএর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
আরও পড়ুন: Amtruta Fadnavis | Bribe | দেবেন্দ্র ফড়নবীশের স্ত্রীকে ঘুষের প্রস্তাব, ফোনে হুমকি
বুধবার ভাঙড়ের বড়ালি এলাকায় একটি কর্মিসভা থেকে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে থাকা সরকারি কর্মচারীদের নিশানা করে ওই তৃণমূল নেতা আরও বলেন, এরা ভোট করাতে এলে নিজেদের লোক বলে ভেবে নেবেন না। এদের সব ডিস্টার্ব। ভোট দিয়ে এসেছে, ব্যালটে ডিস্টার্ব। আবার এখানে এসেও ডিস্টার্ব করবে। ওদের ডিস্টার্বগিরি ছাড়িয়ে দিতে হবে। আগে বুথের মধ্যে অনেক কায়দা করত। মুরগির মাংস খাওয়ানোর পরিকল্পনা করার কোনও দরকার নেই। চাপে রাখতে হবে তাঁদের। যা মনে করেছে তাই না কি?
কাইজারের এই মন্তব্যে প্রেক্ষিতে নওশাদ বলেন, এটা ২০১৮ নয়। কেউ নিজের মতো করে ভোট করাতে চাইলে আমরা ভাঙড়ের মানুষকে নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করব। এই সব কথা বলে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেতারা। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ভোটে বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের পাশাপাশি অন্যান্য দায়িত্বও সামলায় সরকারি কর্মীরা। কিন্তু সম্প্রতি ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। এমনকী সরকারকে ভোট না করতে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। তারই মাঝে তৃণমূল নেতার এই হুমকি ভালোভাবে দেখছে না রাজনৈতিক মহলের একাংশ।