কেশপুর: দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে হাতের কব্জি পর্যন্ত বাদ দিতে হয়েছে কেশপুরের (Keshpur) চরকা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল আলম নামে এক যুবকের। বুধবারের ওই বোমাবাজির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আরও ২৫টি বোমা উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে। তার ক্ষতিপূরণের জন্য এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইলেন আহত যুবকের পরিবার। আর ওই ঘটনার পরদিন লাল পতাকায় মুড়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকায় মিছিল করল সিপিআইএম।
বোমার আঘাতে হাতের কব্জি হারিয়েছেন রফিকুল। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Midnapore Hospital) চিকিৎসার সময় তার হাতের অনেকটা অংশ কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত রফিকুলের স্ত্রী রেক্সোনা বিবি বৃহস্পতিবার বলেন, -“এত বড় ঘটনা যারা ঘটিয়েছিল তাদের কেউ গ্রেফতার হয়নি। আমার স্বামী আক্রান্ত হলেও তাকে একবার দেখতেও কেউ আসেনি। উল্টে শিউলি সাহা সহ অনেকেই দোষারোপ করছেন। আমার স্বামী প্রতিবন্ধী হয়ে গেল, ছোট সন্তাদের নিয়ে আমি বিপদে পড়লাম। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এর সুবিচার দাবি করছি।”
ওই ঘটনার পেছনে সিপিএম এবং বিজেপির পরিকল্পনা রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক (AITC MLA) শিউলি সাহা। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন- “কেউ ওই যুবককে বোমা মেরেছিল নাকি সে নিজেই বোমা মারতে গিয়েছিল সেটা পুলিশ দেখছে। তবে এই কান্ডের পেছনে পরিকল্পিত চক্রান্ত রয়েছে সিপিএম এবং বিজেপির। নির্বাচনের আগে আমরা তা পরাস্ত করে দেব।” একই দাবি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি-র।
এই পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিপিএমের উদ্যোগে মিছিলের (CPM Rally) আয়োজন করা হয়েছিল কেশপুর বাজারে। শাসকদলের সন্ত্রাস ও কেন্দ্রের বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদ করে এই মিছিলের পর ছোট একটি সভার আয়োজন করা হয়। আর এই মিছিলের নেতৃত্বে থাকা সিপিএমের জেলা কমিটির নেতা তরুণ রায় বলেন- “ওরা যে কোন কারণেই হোক আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলবেই। কিন্তু এসব ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। মানুষ সেটা বুঝবেন।”