খড়্গপুর: শনিবার চারদিনে পড়ল কুড়মিদের অবরোধ আন্দোলন (Kurmi Agitation )। কুড়মি আন্দোলনের জেরে প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে খড়্গপুর ডিভিশনে ট্রেন চলাচল। খড়্গপুর ডিভিশনে (Kharagpur Division) ২৩৮ টি ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত একই সঙ্গে অবরোধ চলছে সড়ক পথেও। সব মিলিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই সাধারণ মানুষের। এই অবস্থায় আন্দোলনরত আদিবাসী কুড়মি সমাজ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের দাবি না মেটা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। দক্ষিণ পূর্ব রেল (South Eastern Railway) বলছে, কুড়মি সমাজের এই দাবির সঙ্গে রেলের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু আন্দোলনের জন্য ক্ষতি হচ্ছে রেলের, ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
কুড়মি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিভুক্তদের আওতায় আনা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি-সহ একাধিক দাবিতে টানা রেল রোকো অভিযান চালাছে কুড়মি সমাজ। দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশন (Kharagpur Division of South Eastern Railway) শনিবার দুপুরে একটি তালিকা প্রকাশ করে জানিয়েছে, গত ৫ এপ্রিল থেকে খেমাশুলিতে রেল অবরোধ চলছে কুড়মিদের৷ তারপর থেকে শনিবার পর্যন্ত খড়্গপুর ডিভিশনের ১৩০টি এক্সপ্রেস বাতিল করতে হয়েছে৷ প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল হয়েছে ৬৬টি৷ ঘুরপথে নিয়ে যেতে হয়েছে ৩৭টি এক্সপ্রেসকে৷ শর্ট টার্মিনেট করতে হয়েছে তিনটি এক্সপ্রসকে, প্যাসেঞ্জার ট্রেন শর্ট টার্মিনেট হয়েছে দুইটি৷ সব মিলিয়ে মোট ২৩৮টি ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে৷ অন্যদিকে বেশকিছু দূরপাল্লা ট্রেনের গতিপথও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি অব্যাহত৷ এর জেরে শনিবার সকাল থেকে খড়্গপুর জংশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন প্রায় খাঁ খাঁ করে৷
আরও পড়ুন:Bihar Headcount of Third Gender | বিহারে তৃতীয় লিঙ্গকে জাতি হিসেবে গণনা করায় বিতর্ক
বুধবার থেকে রেল-সড়ক অবরোধে আন্দোলনে বসে কুড়মিরা। এর জেরে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের বেশকিছু অংশে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকার এই আন্দোলন প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ।
প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও সদুত্তর না পেলে আগামিদিনে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি কুড়মি সম্প্রদায়ের। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে রেল-সড়ক আটকে চলছে অবরোধ আন্দোলন। টানা রেল-সড়ক অবরোধের জেরে গোটা জঙ্গলমহল কার্যত স্তব্ধ হওয়ার মুখে।