ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন এলিজাবেথ ট্রাস। ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ৪৫ দিন পদে থাকার পর বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা করলেন তিনি। ব্রিটেনের সর্বোচ্চ পদে সবথেকে কম দিন থাকার রেকর্ড গড়লেন ট্রাস।
এদিন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যে জনাদেশ নিয়ে আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম, বর্তমান পরিস্থিতিতে তা চালিয়ে যেতে পারছি না। যতদিন আমার উত্তরসূরি বেছে নেওয়া না হচ্ছে ততদিন প্রধানমন্ত্রী পদে থাকব।
আরও পড়ুন: Man Utd: ম্যান ইউয়ের জয়ের রাতে কাঁটা রোনাল্ডো, তাঁর জঘন্য আচরণের নিন্দায় ফুটবল মহল
পদে এসেই অর্থনীতির খোলনলচে বদলাতে উদগ্রীব হয়ে পড়েন লিজ ট্রাস। একাধিক আর্থিক সংস্কারের কথা ঘোষণা করেন তাঁর ‘মিনি বাজেটে’। সঙ্গী ছিলেন তাঁর পছন্দের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারটেং। কিন্তু ট্রাসের আর্থিক সংস্কার ব্রিটেনের অর্থনীতিকে চূড়ান্ত ডামাডোলের মধ্যে ফেলে দেয়। বাধ্য হয়ে কোয়ারটেংকে সরিয়ে জেরেমি হান্টকে অর্থমন্ত্রী করেন ট্রাস। পদে এসেই ট্রাসের যাবতীয় আর্থিক সংস্কারের ব্লু প্রিন্ট আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেন হান্ট। স্বভাবতই এর ফলে ট্রাসের যোগ্যতা নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠতে থাকে নানা মহলে। কেউ কেউ বলতে শুরু করেন, বকলমে হান্টই প্রধানমন্ত্রী। টলোমলো পরিস্থিতি সত্ত্বেও ট্রাস বলেছিলেন, ভুল সংশোধন করে নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন। কিন্তু তা হল না, প্রধানমন্ত্রিত্বের স্বাদ খুব অল্প দিনেই মিটে গেল তাঁর।