কলকাতা: ঢেউ উঠেছে (3rd Wave in West Bengal)৷ স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিদিনের বুলেটিনে তা স্পষ্ট৷ কনটেনমেন্ট জোন, মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করেও সংক্রমণকে এক জায়গায় বেঁধে রাখা যাচ্ছে না৷ তার পরেও হেলদোল নেই একশ্রেণির মানুষের৷ মাস্ক ছাড়া দিব্য রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা৷ এই প্রবণতা মারাত্মক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘লোকে নিয়ম মানছে না৷’ তাই পুলিসকে তিনি কড়া হতে নির্দেশ দেন৷ রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামী ১৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ মানুষকে সচেতন হতে হবে৷’
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বারবার জনসচেতনতার উপর জোর দেন৷ তিনি একপ্রকার মেনে নেন, প্রশাসন জোর করে মানুষকে মাস্ক পরাতে পারে না৷ তাই মানুষকে সচেতন হতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরুন৷ গ্লাভস পরুন৷ স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন৷ মাথায় সার্জিক্যাল ক্যাপ ব্যবহার করুন৷’ বিধিনিষেধ না মানলে পুলিস অতিমারি আইন মেনে কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পাশাপাশি যাঁদের টিকা নেওয়া হয়নি তাঁদের দ্রুত ভ্যাকসিন নিতে বলেন৷ মমতা জানান, আগামী ১৫ দিন গুরুত্বপূর্ণ৷ যাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়নি তাঁরা যেন নিকটবর্তী টিকা কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে নেন৷
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজ্যে৷ আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারের কাছাকাছি৷ শুধুমাত্র কলকাতাতেই আক্রান্ত ৬ হাজারের বেশি৷ তবে উদ্বেগের মধ্যে স্বস্তি একটাই হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীর চাপ কম৷ কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রাজ্যের তরফে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে বলে জানান মমতা৷ তিনি বলেন, ‘১৯৪টি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে৷ ৩২ হাজার বেড তৈরি৷ ২৬৭টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে৷’ তবে তাঁর একটাই বার্তা, মানুষ যেন কোভিড বিধি মেনে চলে৷ কোভিড রুখতে প্রয়োজন জনসচেতনতা৷
আরও পড়ুন: Covid-19: অন্য রাজ্য থেকে বাংলায় ঢুকতে গেলে আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক, ঘোষণা মমতার