সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে এবার খানিকটা আশ্বাসের সুর মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে সরকারি কর্মীদের আপাতত খানিকটা ধৈর্য ধরে চলার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী। শনিবার ডিএ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়ে দেন, সঠিক সময়ে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেবেন।
তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান সরকারি কর্মীরা ভাতা পান। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে সাধারণ মানুষের কথাও ভাবতে হয়। তিনি রাজ্যে গরিব মানুষের কথা মাথা রেখে বেশ কিছু প্রকল্প চালু করেছেন। তাঁদের বিষয়টিই আগে ভাবতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীর প্রসঙ্গ টেনে এনে শোভনদেব আরও জানিয়ে দেন, যাঁরা ডিএ পাচ্ছেন না, তাঁরা দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পান। কিন্তু যাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ওই সব নতুন প্রকল্পগুলি তৈরি করেছেন, তাঁরা দু’বেলা হয়তো ঠিক মতো খেতেও পান না। তাই মুখ্যমন্ত্রী সেই সব মানুষের কথাও ভাবছেন। এরাজ্যের সরকার হচ্ছে গরিবের সরকার তাই দরিদ্রদের জন্য অনেকগুলি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। ওই সব প্রকল্প চালাতে গিয়ে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে দেরি হচ্ছে।
চলতি বছরের ২০ মে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার কথা। অন্যদিকে নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডিএ না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যেই ডিএ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু রায় পুনর্বিবেচনা করার ব্যাপারে রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা আগের রায়ই বহাল রাখেন।
শুক্রবার ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টে একটি হলফনামা দায়ের করেছে। যার ভিত্তিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের অনুমান, ডিএ মামলা নিয়ে রাজ্য সরকার এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী অবশ্য ওই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি।