বোলপুর: আবারও জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার রেলপথে মালদহ (Malda) যাওয়ার আগে বোলপুর শান্তিনিকেতন রেলস্টেশনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্যরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় খাবার, চপ-মুড়ি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে।
আগামিকাল মুখযমন্ত্রীর মালদহে প্রশাসনিক সভা আছে। পরে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জনসংযোগ যাত্রাতেও শামিল হবেন। শুক্রবার মালদহ থেকে মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে যাবেন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। সেখানকার ধুলিয়ানে ভাঙনকবলিত এলাকা হেঁতে পরিদর্শন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। এমনটাই খবর জেলা প্রশাসন সূত্রের। বুধবার ধুলিয়ানে যান প্রশাসনিক কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুত্তি দেখতে। এদিন সামশেরগঞ্জ ফিল্ড, গঙ্গা, লাল্পুর সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি রসিদ মুনির খান। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ ও প্রশাসনের একাধিক কর্তা স্থানীয় বিধায়ক আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: Congress Joining | ফের তৃণমূল-বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ ২ হাজার কর্মী-সমর্থকের
হাওড়া থেকে এদিন সরাইঘাট এক্সপ্রেসে মালদহ রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্রেন বোলপুরের পৌঁছতেই স্টেশন চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে ‘মুখ্যমন্ত্রী জিন্দাবাদ’ স্লোগানে। তাঁকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান বীরভূমের নেতারা। জেলার সংগঠন নিয়ে তিনি নেতাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাও বলেন। হাজির ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, মলয় মুখোপাধ্যায় প্রমূখ।
এর আগে উত্তরবঙ্গ সফরের সময় বোলপুর স্টেশনে ট্রেন থামলে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পাশাপাশি দিদির হাতে চপ-মুড়ি তুলে দিতেন কেষ্ট। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে জেলে। তবু নেত্রীর হাতে চপ-মুড়ি তুলে দেন জেলার নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে ৬ মে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েও জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। রামপুরহাট স্টেশনে ট্রেন পৌঁছলে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে কর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন মমতা। স্ট্রেশনে হাজির ছিলেন বিধানসভার ডেপুতি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ শতাব্দী রায় এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারা।