বিরিয়ানির (Biriyani) প্যাকেট ভাগ করা নিয়ে বচসা, আর তার জেরে স্ত্রীর (Wife) গায়ে আগুন লাগিয়ে দিলেন ভারতীয় রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। আগুন লাগা অবস্থায় স্বামীকে (Husband) জড়িয়ে ধরেন স্ত্রী। ফলে ওই ব্যক্তিও কিছুটা অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। স্ত্রী পদ্মাবতীর মঙ্গলবারই মৃত্যু হয়েছে। স্বামী করুণাকরণের মৃত্যু হয়েছে বুধবার। এই ঘটনা চেন্নাইয়ের (Chennai) অয়নাভরাম এলাকার।
পুলিশ (Police) প্রথমে আত্মহত্যা বলে সন্দেহ করেছিল। কিন্তু মৃত্যুর ঘণ্টা কয়েক আগে কিলপক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাবতীয় ঘটনা বলে দেন পদ্মাবতী। এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, ৭৪ বছর বয়সি করুণাকরণ এবং ৭০ বছরের পদ্মাবতী অয়নাভরামের টেগোর নগরে থাকতেন। তাঁদের চার ছেলেমেয়ে নিজেদের পরিবার নিয়ে আলাদা জায়গায় থাকেন। প্রতিবেশীদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, দেখাশোনা করার কেউ না থাকায় বৃদ্ধ দম্পতি মানসিক কষ্টে ভুগতেন। দুজনের মধ্যে ঝগড়া হত প্রায়ই।
আরও পড়ুন: Mother Murder: বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় মাকে খুন কমার্স গ্র্যাজুয়েট ছেলের
সোমবার রাতে চিৎকার চেঁচামেচির খবর পেয়ে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা নিজেরাই ছুটে গিয়ে দেখেন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছেন দুজনেই। দ্রুত তাঁদের নিয়ে গিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। করুণাকরণ ৫০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ এবং পদ্মাবতীর শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
প্রথমে বাড়ি তারপর হাসপাতালে যায় পুলিশ। মৃত্যুর আগে পদ্মাবতী বলে যান, সোমবার রাত ৮টার দিকে এক প্যাকেট বিরিয়ানি কিনে এনে একাই খাওয়া শুরু করেন করুণাকরণ। পদ্মাবতী তাতে রেগে যান এবং বিরিয়ানির ভাগ চান। বিষয়টি ক্রমে বচসার দিকে মোড় নেয়। রাগের চোটে স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন করুণাকরণ। পদ্মাবতীও তাঁকে চেপে ধরেন, ফলে অগ্নিদগ্ধ হন স্বামীও। অবশেষে মৃত্যু হয়েছে দুজনেরই।