প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মানিকের ছেলের একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় মানিককে। সেখানেই মানিকের ছেলের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার হদিস পাওয়া যাওয়ার তথ্য আদালতে জানায় ইডি।
ইডির দাবি, মানিক-পুত্র শৌভিকের নামে একটি কনসালটেন্সি ফার্ম রয়েছে। ওই সংস্থা ৫৩০টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যারা বি.ইডি, ডি.ইএল.ইডি-র মতো কোর্স করায় তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। ওই টাকা নেওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য। কিন্তু আদপে কোনও কাজ হয়নি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এক্ষেত্রে অর্থ তছরুপ হয়েছে। মানিকের বহু আত্মীয়ের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। আর সেই সব অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকেছে। যদিও পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিকের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেছেন, ওই অর্থ চেকের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। আর পরিকাঠামো উন্নতির কাজ হয়নি বলে কোনও টাকা ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হয়নি।
আগে হাইকোর্ট এই মামলায় তদন্তভার দিয়েছিল সিবিআইকে। টেট-কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় শুনানি শেষ হলেও সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণা স্থগিত রাখে। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত মানিককে কোনও ভাবেই গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে, টেট মামলায় সিবিআই তদন্ত করার যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, তাতে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি।