নয়াদিল্লি: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) পর সাংসদ পদ খোয়ালেন বহুজন সমাজ পার্টির আফজল আনসারি (Afjal Ansari)। উত্তরপ্রদেশের একটি আদালত শনিবার বিএসপি সাংসদ আফজলকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সংসদের নিয়ম অনুযায়ী কোনও সাংসদের কারাদণ্ড হলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। সোমবার লোকসভার সচিবালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করেব জানিয়ে দিয়েছে, আফজল আনসারির সাংসদ পদ বাতিল করা হল।
২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাইকে অপহরণের পর খুনের অভিযোগ ওঠে আফজলের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের ওই আদালত শনিবার গ্যাংস্টার-রাজনীতি মুখতার আনসারিকে ১০ বছরের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। আফজল মুখতারের ভাই। দুজনেই ওই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ ছিল।
উত্তরপ্রদেশের এমপি, এমএলএ আদালত মুখতারকে পাঁচ লক্ষ টাকার জরিমানাও করেছে। আফজলকে জরিমানা করা হয়েছে এক লক্ষ্য টাকা। প্রায় দু’দশক ধরে ওই হতযা মামলা চলছিল। নিহত কৃষ্ণানন্দের স্ত্রী বলেন, উত্তরপ্রদেশের মাফিয়াদের দিন শেষ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: Karnataka Assembly | জয়নগর কেন্দ্র কি কংগ্রেসের সৌম্যা দখলে রাখতে পারবেন?
উত্তরপ্রদেশে মাফিয়ারাজ খতম করা হবে বলে কয়েক দিন আগেই বিধানসভায় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কয়েক দিন আগেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে গ্যাংস্টার-রাজনীতিক আতিক আহমেদ তার ভাই পুলিশী ঘেরাটোপের মধ্যেই খুন হয়। এই খুনের দিন তিনেক আগেই পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায় আতিকের ছেলে। তিনজনেই এক রাজনীতিকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল। ওই এনকাউন্টারের পরই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সদর্প ঘোষণা ছিল, উত্তরপ্রদেশে মাফিয়াদের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেব। তার পরই খুন হয়ে যায় আতিক ভ্রাতৃদ্বয়।
গত ২৩ মার্চ সুরাতের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে দুইবছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী কর্নাটকের কোল্লারের এক সভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, সব চোরের পদবি মোদি হয় কী করে? নীরব মোদি, ললিত মোদি, নরেন্দ্র মোদি….। এর পরই গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি সুরাত থানায় অভিযোগ করেন, রাহুল গান্ধী সমগ্র মোদি সমাজকে অপমান করেছেন। তা নিয়ে মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে দু’বছরের কারাদণ্ড দেয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরের দিনই লোকসভার সচিবালয় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। নগর দায়রা আদালতেও আবেদন করে রাহুল সুরাহা পাননি। তিনি গুজরাত হাইকোর্টে আবেদন করেন। শনিবার তাঁর শুনানি হয়। পরবর্তী শুনানি ৪ মে।