আমেদাবাদ: রাত পোহালেই গুজরাতে ভোট (Gujarat Assembly Polls)। যে নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির অধিকাংশ প্রার্থীই ‘দাগি’ (Criminal Record)। এমনকী কংগ্রেসকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে রাত্রদিন গাল পাড়া বিজেপি (BJP) এবং আম আদমি পার্টির (AAP) বেশিরভাগ প্রার্থীরই অতীতে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। গুজরাতে মোট ১৯২ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৯৬ জন প্রার্থী হলেন কংগ্রেস, বিজেপি এবং আপের।
গুজরাত ভোটে দেড় হাজারেরও প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৩৩০ জন অথবা ২০ শতাংশ জনেরই বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের (ADR) তথ্য অনুযায়ী এই তালিকায় শীর্ষে আছে আম আদমি পার্টি। যাদের ভাণ্ডারে আছে এরকম ৬১টি রত্ন। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে অর্থাৎ গত বিধানসভা নির্বাচনে দাগি প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২৩৮।
আরও পড়ুন: Kolkata Book Fair: কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা শুরু ৩০ জানুয়ারি থেকে, থিম এবার স্পেন
দুদফার ভোটে দাঁড়ানো দাগি প্রার্থী রয়েছে কংগ্রেসে ৬০ জন এবং বিজেপিতে ৩২ জন। মনোনয়নের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এডিআর জানিয়েছে, মোট ১৯২ জনের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, এমনকী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ রয়েছে। প্রথম দফার ভোটে প্রায় ৩৩০ জনের নামে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। তবে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তদের শীর্ষে রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপ। আপের ১৮১ জনের মধ্যে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত রয়েছেন ৪৩ জন। তার পরেই রয়েছে কংগ্রেস। ১৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে হাত চিহ্নে দাঁড়িয়েছেন ২৮ এবং ১৮২ জন প্রার্থীর মধ্যে বিজেপির গুরুতর দাগি প্রার্থী হলেন ২৫ জন।
এডিআর জানিয়েছে, গুরুতর অপরাধ বলতে তারা জামিন অযোগ্য অপরাধকে ধরেছে। অর্থাৎ যে অপরাধে ৫ বছর অথবা তার বেশি শাস্তি হয়ে থাকে। মারধর, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ এবং মহিলাঘটিত অপরাধ ও দুর্নীতি এর মধ্যে পড়ে। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধে অভিযুক্তের সংখ্যা ১৮। অন্যদিকে, একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত। ৫ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে খুন এবং ২০ জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা চলছে।