নয়াদিল্লি: একটি ঘরের একদিকে গেটের একটি পাল্লা পড়েছে ভারতে। ওই ঘরের গেটের আরেক দিকের পাল্লা পড়েছে মায়ানামারে (Myanmar)। গল্প হলেও এটিই সত্যি। গ্রামের নামটি লংগোয়া। মায়ানমারের একজন রাষ্ট্রমন্ত্রী সেই গ্রামে দুই দেশের মানচিত্র দেওয়া ভিডিও শেয়ার করেছেন। যা ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি। তাতে দেখা গিয়েছে, নাগাল্যান্ডের সীমানায় ভারতের চাষ জমি রয়েছে এক প্রান্তে। অন্যদিকে মায়ানমারের ঘন জঙ্গল। মাঝখানে লংগোয়া (Longwa) গ্রাম।
কিন্তু, কীভাবে এমনটি হল? জানা গিয়েছে, ১৯৭০ সালে দুদেশের সীমান্ত রেখা টানা হয়। সেই সময় ওই গ্রামে দুটি দেশের সীমান্তে পড়ছিল। গ্রামে একটিই উপজাতি বসবাস করে। গ্রামটি অনেকটা বড়। তাদের মধ্যে ভাগ করতে চাওয়া হয়নি। সেজন্য গ্রামটি দুজনের সীমানাতেই পড়ছে। শুধু তাই নয়, ওই গ্রামে চারটি নদী আছে। তার মধ্যে দুটি নদী ভারতের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। বাকি দুটি নদী গিয়েছে মায়ানমারের মধ্য দিয়ে। সেখানকার মন্ত্রী তেমজেন ইম্মা এলং ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি (Minister Temjen Imna Along) ।মায়ানমারের মন জেলায় ওই গ্রামটি অবস্থিত। ছবির মতো সুন্দর ওই গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দারা মজা করে বলেন, আমাদের ভিন দেশে যেতে হলে বেডরুমে গেলেই হবে। রান্নাঘর একটি দেশে। শোওয়ার ঘর অন্য দেশে। সেখানে কোনিয়াক নাগা জনজাতি নামে একটি জনজাতি বাস করেন। নাগাল্যান্ডে খাওয়া ও মায়ানমারে শোওয়ার গ্রাম সেটি। মায়ানমারের মন জেলার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ওই গ্রামটি শাসন করে এজন মুখ্য (Chief)। গ্রামটি দুদেশেই পড়ছে। তাতেই দেখা যায় একটি দেওয়ালে লেখা রয়েছে বার্মিজ (Burmees) ভাষায়, তো আরেকটি দেওয়ালে লেখা রয়েছে হিন্দি ভাষায় (Hindi)।