নয়াদিল্লি, ২১ অগাস্ট: তামিলনাড়ুর প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার চিকিৎসায় চেন্নাইয়ের অ্যাপলো হাসপাতালের কোনও ভুল ছিল না। সঠিক পথেই সেখানে হয়েছিল চিকিৎসা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত এইমস-এর চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত কমিটির ক্লিনচিট পেল অ্যাপলো।
৫ ডিসেম্বর, ২০১৬। মারা যান জয়ললিতা। তার পরের বছরই মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি অরুমুগাস্বামীর অধীনে এডিএমকে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। সেই কমিশন রিপোর্টও দিয়েছে। তার পরই আইনমন্ত্রী দাবি করেন, সেই রিপোর্টে স্পষ্ট, জয়ললিতার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে চেন্নাইয়ের অ্যাপলো হাসপাতাল (এই হাসপাতালেই জয়ললিতা চিকিৎসাধীন ছিলেন)-র সঙ্গে শশিকলার একটা গোপন চুক্তি ছিল। এর পর ২০২১ সালের নভেম্বরে এইমস-এর চিকিৎসকদের নিয়ে একটি কমিটি করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই মাসের চার তারিখ এইমস তার রিপোর্ট দেয়। তাতেই ক্লিনচিট দেওয়া হয় চেন্নাই অ্যাপলোকে।
প্রসঙ্গত জয়ললিতার মৃত্যুর পর তাঁর আইনমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, হাসপাতালের পক্ষ থেকে জয়ললিতার অ্যাঞ্জিওগ্রাম করাতে বলা হয়। কিন্তু তা সঠিক সময়ে করানো হয়নি। তার উপর চিকিৎসার জন্য জয়ললিতাকে বিদেশে উড়িয়ে নিয়ে যেতে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সও তৈরি ছিল। সেখানেও বাধা দেওয়া হয়। আর এসব বিষয় সামনে রেখেই চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন তিনি। নতুন করে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ২০২১ সালে।
মারা যাওয়ার আগে চেন্নাইয়ের অ্যাপলো হাসপাতালে ৭৫ দিন ভর্তি ছিলেন ‘আম্মা’। অভিযোগ, তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় অন্ধকারেই রেখেছিলেন আমজনতাকে। নির্দিষ্ট কয়েক জনের বাইরে কেউ জানতেনই না, কেমন আছেন জয়ললিতা। এমনকি, তাঁর সঙ্গে প্রায় কাউকে দেখা করতে দেওয়া হত না। যদিও ওই চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শশিকলা এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে প্রতিদিনই জয়ললিতার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য জানানো হত। পাশাপাশি, সমস্তটাই জানানো হত হাসপাতালের চেয়ারম্যানকে।