কলকাতা: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত হবে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের। পাশাপাশি সিআইডিও তদন্তের কাজ চালিয়ে যাবে। আগামী ১২ মে-র মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা করতে হবে বলে জানাল উচ্চ আদালত। পরবর্তী শুনানি ১২ মে।
আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে বলেন, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের। এই ঘটনার সাতজন সাক্ষী রয়েছে। তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। অবিলম্বে তাঁদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করুক আদালত। তিনি আরও বলেন, মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু নিয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মৃত্যুর পিছনে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করছে না পুলিশ এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ তোলেন।
অন্যদিকে, আহত এএসআই মোয়াজ্জেম হোসেনের পরিবারের আইনজীবী বলেন, এই মামলা করতে এসে ১৯৮৪ সালে গার্ডেনরিচের ডিসি বিনোদ মেহতা খুনের কেসের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। অভিযানকারী দলের সঙ্গে মোয়াজ্জেম ছিলেন। জনতা যখন পুলিশকে ঘিরে ধরে, তখন এই এএসআই একা পড়ে যান। তাঁকে ফেলে মারধর করতে থাকে জনতা। এসআইয়ের মাথা ফেটে যায়। ওই অবস্থায় তিনি মাটিতে পড়ে গিয়ে শূন্যে দুটি গুলি চালান। তাঁর গুলিতেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে কি না সেটা সঠিক নয়। এএসআইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি এখনও রায়গঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, সরকারি আইনজীবী অমল সেন বুধবার বলেন, সিআইডি তদন্তভার নিয়েছে। গুরুত্ব দিয়ে সিআইডি তদন্ত করছে। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু কি না এ বিষয়টি সম্পূর্ণ তদন্তসাপেক্ষ। তবে এএসআই একা পড়ে যান, বাধ্য হয়ে তিনি গুলি চালিয়েছিলেন। তবে গুলিতেই যে মৃত্যু হয়েছে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের এটা ঠিক। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু কি না সেটি তদন্তসাপেক্ষ।