বোলপুর: রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর অমর্ত্য সেনের বাড়ির ১.৩৮ একর জমি তাঁর নামে রেকর্ড করে দিল। বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) অভিযোগ ছিল ১৩ ডেসিমেল জমি অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) দখল করে রেখেছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের ভূমি সংস্কার দফতর ওই পরিমাণ জমি নোবেলজয়ীর (Nobel Winner) নামে রেকর্ড করার পর এখন দেখার বিষয়, বিশ্বভারতী কী পদক্ষেপ করে।
এদিন বিদেশে রওনা দেওয়ার আগে অমর্ত্য সেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন এই জমি আমার বাবার নামে ছিল। এখন আমার নামে হওয়া উচিত ছিল। তাই হল। জমির দলিলে লেখা ছিল, বাবা মারা যাওয়ার পর জমির অধিকারী হবেন মা। মায়ের অবর্তমানে জমির মালিক হবে অমর্ত্য সেন। আজ সেটাই হল।
প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনের বাড়ির ওই ১৩ ডেসিমেল জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর টানাপড়েন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি তা নিয়ে আবার নতুন বিতর্ক শুরু হয়। গত এক দেড় মাসের মধ্যে ওই জমি ফেরত চেয়ে অন্তত তিনবার প্রবীণ অর্থনীতিবিদকে চিঠি দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অমর্ত্য সেনের আইনজীবী পাল্টা চিঠি দেন বিশ্বভারতীকে। তার মধ্যে বিশ্বভারতী জমি মাপজোক করার জন্য অমর্ত্যকে প্রস্তাব দেন, দুপক্ষের উপস্থিতিতে তা করা যেতে পারে। কিন্তু তাতেও জটিলতা কাটেনি।
এরই মধ্যে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) বাড়িতে গিয়ে জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র অমর্ত্য সেনের হাতে তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আপনার পাশে রয়েছি। তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিশ্বভারতী (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষ। লিখিত বিবৃতিতে বিশ্বভারতী অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী অমর্ত্য সেনকে ভুল কাগজপত্র দিয়েছেন। ওই জমি নিয়ে টানা বিতর্ক চলার পর অবশেষে এদিন রাজ্যের ভূমি দফতর অমর্ত্য সেনের নামে জমি রেকর্ড করে দিল। তবে বিতর্ক এখানেই থামবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।