অ্যাপেক্স ও সিয়েন। মাটিতে গুঁড়িয়ে যাওয়ায় ক্ষতি হল ৫০০ কোটি টাকা। জানিয়েছেন, নির্মাণকারী সংস্থা সুপারটেকের কর্ণধার আর কে অরোরা। আর এই টুইন টাওয়ার ধ্বংস করতে ২০ কোটি টাকার বিস্ফোরক লেগেছে। মোদ্দা কথা, মাত্র নয় সেকেন্ডের মধ্যে মাটিতে মিশে গেল ৫২০ কোটি! যদিও, গোটা প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করতে আরও অনেক বেশি খরচ হয়েছে।
রবিরার, ঘড়ির কাঁটা দুপুর ২টো বেজে ৩০ মিনিট৷ তারপরই ৯ সেকেন্ডের মধ্যে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল টুইন টাওয়ার৷ অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে টুইন টাওয়ার ভেঙে দেওয়া নিয়ে চলেছিল আইনি লড়াই৷ ন’বছরের আইনি লড়াই শেষে মাত্র ৯ সেকেন্ডে মাটিতে মিশে গেল অ্যাপেক্স ও সিয়েন৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর চলতি সপ্তাহ থেকে যমজ বহুতল ভেঙে ফেলার দক্ষযজ্ঞ শুরু হয়৷ ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক আনা হয় হরিয়ানা থেকে৷ তা বেআইনি নির্মাণের কোণায় কোণায় রেখে দেওয়া হয়৷ টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দিতে এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়৷ সোমবারই বহুতলের ভিতরে বিস্ফোরক মজুতের কাজ শেষ হয়ে যায়৷ মঙ্গলবার থেকে বিস্ফোরক ফাটানোর জন্য তার সংযোগের কাজও শেষ হয়৷
অন্তত ৪০ জন দক্ষ কর্মীকে এই কাজে লাগানো হয়ে। যাঁরা গত ১৩ অগাস্ট থেকে এই কাজ শুরু করেছেন। প্রথমে একসঙ্গে ২৯ তলা ও ৩২ তলার বাড়ি দুটিতে বিস্ফোরক মজুত করা হয়। দুটি টাওয়ার ধ্বংস করতে আনুমানিক ২০ হাজার কানেকশন করা হয়। আজ ডিটোনেটরের মূল সংযোগ করা হয়। যে ৪০ জন এই কদিন কাজ করেছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ১০ জন আজ উপস্থিত ছিল। তার মধ্যে প্রজেক্ট ম্যানেজার-সহ ৩ জন ভারতীয় এবং বাকিরা এই সংস্থার পার্টনার জেট ডিমোলিশনের সদস্য।
যে যমজ অট্টালিকাকে নিয়ে এত বিতর্ক, তাঁর সৃষ্টিকর্তা কিন্তু ধ্বংসের দিনেও জোর গলায় দাবি করেছেন, নির্মাণে কোনও বেনিয়ম হয়নি। এক বিবৃতি জারি করে তিনি বলেন, “অট্টালিকা বানানোর জন্য যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাতে কোনও রকম বদল করা হয়নি। শুধু তাই-ই নয়, নয়ডা কর্তৃপক্ষকে পুরো টাকা দেওয়ার পরই এই অট্টালিকা বানানো হয়েছে।” পাশাপাশি সংবাদ সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে তাঁদের অন্য নির্মাণে কোনও প্রভাব ফেলবে না। তাঁর সংস্থা নির্দিষ্ট সময়েই বাকি প্রকল্প শেষ করবে এবং নির্ধারিত সময়েই ক্রেতাদের হাতে ফ্ল্যাট তুলে দেওয়া হবে। তাঁর কথায়, “আমরা ৭০ হাজারের বেশি ক্রেতাকে ফ্ল্যাট দিয়েছি। আশ্বাস দিচ্ছি, বাকিদেরও নির্ধারিত সময়ে দেওয়া হবে।”