সিত্রাংয়ের ফাঁড়া কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। বাংলাদেশের দিকে ল্যান্ডফল করে সিত্রাং এগিয়ে যাওয়ায় রক্ষা পেয়েছে এই রাজ্য। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নদীগুলিতে মঙ্গলবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সকাল থেকেই আকাশ পরিষ্কার। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার চেনা ছবি দেখা গেল দুই জেলারই বিস্তীর্ণ অংশে। ছন্দে ফিরছেন পর্যটকরা। হাল্কা শীতের আমেজ বাড়ায় পর্যটনকেন্দ্রমুখী হতে পর্যটকদের দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন SITRANG CYCLONE: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বাংলাদেশে ছয় জেলায় ১১ জনের মৃত্যু
সোমবার দিনভর ঝড় ও বৃষ্টি হয়েছে। তাতে বেশ কিছু জায়গায় কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে রাতের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আতঙ্ক কাটিয়ে এদিন বসিরহাটের সুন্দরবন লাগোয়া নদীঘাটগুলিতে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, হাসনাবাদ নদীর ঘাটে সেরকমই ছবি দেখা গিয়েছে। এদিন ঠান্ডা আমেজে ঝলমলে রোদ উপভোগ করেছেন পর্যটকরা। টাকি, হেমনগর, বসিরহাট সহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ভিড় দেখা গিয়েছে। সকাল থেকে ইছামতী, বেতনী, রায়মঙ্গল, ছোট কলাগাছি, গৌড়েশ্বর নদীতে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ফলে মানুষ কাজে বেরোতে পেরেছেন। পর্যটকরা দীপাবলি, কালীপুজো কাটিয়ে এবার ভাইফোঁটার দিনকে উৎসবমুখর করতে চান। এদিন পর্যটন কেন্দ্রগুলি আগাম বুকিং করতে আসেন মানুষ।
গোসাবার একটি খেয়াঘাট পার হয়ে কাজে যান শশাঙ্ক মিস্ত্রি। তিনি এদিন সেখানে জানিয়েছেন, সোমবার খেয়া পারাপার করার দরকার ছিল। কিন্তু, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা খেয়া পারাপার করিনি। শিবপদ মণ্ডল নামে নদীপাড়ের এক বাসিন্দা এদিন বলেন, গতকাল মেঘলা আকাশ ছিল নদীর জলও বেড়েছিল। এদিন জল কমে গিয়েছে। আবার খেয়া চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।