নয়াদিল্লি:ছাত্রছাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল কিংবা কম্পিউটার নিয়ে পড়ে না থাকার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার দিল্লিতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ (Pariksha Pe Charcha) অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন,’একজন ভারতীয় নাগরিক প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৬ ঘন্টা শুধু মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দেয়। এই যন্ত্রের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রক্ষার অর্থ হল, সম্ভবনাগুলিকে নষ্ট করে দেওয়া। ভগবান আমাদের স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন। শুধু এই যন্ত্রের ক্রীতদাসে কেন পরিণত হবে আমরা?’
আর কয়েকদিন পরেই সারা দেশ জুড়ে শুরু হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বোর্ডের (Board Exams) পরীক্ষা। করোনার (Corona) প্রকোপ কাটিয়ে ওঠার পর দেশে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। দু’বছর পর আবার পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা চাপের মুখে। সেই মানসিক চাপ কমানোর জন্যই প্রধানমন্ত্রী ‘পরীক্ষা পে চর্চা ‘ অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের উদ্দেশে অনেক কথা বলেন। দিল্লির (Delhi) ওই অনুষ্ঠানে তিনি ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদেরও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সারা দেশেই ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠান ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেখানো হয়।
আরও পড়ুনDoctor couple Death at Dhanbad : ধানবাদের এক ক্লিনিকে অগ্নিকাণ্ডে ডাক্তার দম্পতি সহ পাঁচজনের মৃত্যু
অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের সন্তানকে নিয়ে অভিভাবক-সহ পরিবারের অনেক প্রত্যাশা থাকে। সেটা খুবই স্বাভাবিক। তবে সেই প্রত্যাশা যদি সামাজিক মর্যাদার কারণে হয় তাহলে তা উদ্বেগের বিষয়। প্রত্যাশা থাকা ভালো। কিন্তু তা যদি মাত্রা ছাড়িয়ে যায় বা উচ্চাশার পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তবে সমস্যায় পড়তে হয়। ছেলে-মেয়েদের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ দেওয়া উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের সময়ের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেন। তাঁর কথায়, একবার হারিয়ে গেলে সময় আর ফিরে পাওয়া যায় না। ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের উপর ভরসা রাখার বার্তা দেন মোদি। পাশাপাশি তাদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতার শীর্ষে পৌঁছনোর পরামর্শ দেন তিনি ।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রদের মধ্যে কয়েকজন তাঁকে জিজ্ঞাসা করে, তিনি বিরোধীদের এবং মিডিয়াকে কিভাবে মোকাবেলা করেন? জবাবে হাসির চলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন। শুক্রবার ‘পরীক্ষা পে চর্চায়’ অংশগ্রহণ করার জন্য ৩৮ লাখেরও বেশি নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১৬ লাখ ছিল রাজ্য বোর্ডের অধীনে।