নয়াদিল্লি: সোমবার রাতেই ফোন নম্বর ব্লক হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। মঙ্গলবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন ১৭টি বিরোধী দলের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মার্গারেট আলভা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, ‘নতুন ভারতে’ রাজনীতিবিদদের সমস্ত কথোপকথনের দিকে লক্ষ্য রাখছেন ‘বিগ ব্রাদার’। বাধ্য হয়ে সাংসদ ও নেতারা একাধিক ফোন ব্যবহার করছেন। ঘন ঘন নম্বর পরিবর্তন করছেন তাঁরা। একে অপরের সঙ্গে দেখা করলে ফিসফিস করে কথা বলেন। ভয় গণতন্ত্রকে হত্যা করে। কারও নাম না নিলেও আলভার তির যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সোমবার রাতে মার্গারেট টুইটে অভিযোগ করেন, বিজেপির বন্ধুদের ফোনের পর থেকেই তাঁর মোবাইলের ইনকামিং-আউটগোয়িং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নম্বর সক্রিয় করতে কেওয়াইসি-ও করতে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ আলভার। সোমবার রাতের টুইটে আলভা লিখেছেন, ‘প্রিয় BSNL/MTNL, আজকে বিজেপির কিছু বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার পর, আমি কাউকে কল করতে পারছি না। আমাকেও কেউ ফোন করতে পারছেন না। আপনারা যদি পরিষেবাগুলি পুনরুদ্ধার করেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আজ রাতে বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেডির থেকে কোনও সাংসদকে ফোন করব না।’
The fear that ‘Big Brother’ is always watching & listening permeates all conversations between politicians across party lines in ‘new’ India. MPs & leaders of parties carry multiple phones, frequently change numbers & talk in hushed whispers when they meet. Fear kills democracy.
— Margaret Alva (@alva_margaret) July 26, 2022
টুইটের শেষে ‘লাভ’ ইমোজি পোস্ট করেন মার্গারেট। লেখেন, ‘বিশেষ দ্রষ্টব্য, এর পরও কি আপনাদের কেওয়াইসি লাগবে?’ এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের বাজি ৫ বারের কংগ্রেস সাংসদ, রাজীব-ইন্দিরা জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মার্গারেট আলভা। ১৯৭৪ সালে প্রথমবার কংগ্রেসের পক্ষে রাজ্যসভার সাংসদ হন মার্গারেট। ১৯৮০, ১৯৮৬ ও ১৯৯২ সালেও রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। রাজ্যসভার সাংসদ থাকাকালীন সংসদীয় মন্ত্রী, যুবকল্যাণ মন্ত্রক, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন আলভা। অগস্টের ৬ তারিখে উপরাষ্ট্রপতি ভোট।