নয়াদিল্লি: বিহারে বিষমদ কাণ্ডে গণমৃত্যুর তদন্তে সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যাওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সংসদে সোচ্চার হল বিরোধীরা। পরে সন্ধ্যায় ১৪টি সমমনোভাবাপন্ন বিরোধী দল একটি যৌথ বিবৃতি দেয়। যেখানে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত এদিন সকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ৯ সদস্যের একটি দল পাটনা পৌঁছনোয়। সেখান থেকে তারা সারন জেলায় যায় বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যুর তদন্তে। এর আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল বিহার বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করে বিরোধী দল বিজেপি। নীতীশও বিরোধীদের উদ্দেশে কটুকথা বলেন এবং কাউকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেন।
তারপর এদিন আচমকাই মানবাধিকার কমিশন রাজ্যে যাওয়ায় রাজ্যসভায় মুখিয়ে ওঠে বিরোধী দলগুলি। সংযুক্ত জনতা দল, কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং তৃণমূল কংগ্রেস এই ইস্যুতে ওয়াকআউট করে। পরে ফের সভা বসলে বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং লোক জনশক্তি পার্টির চিরাগ পাসোয়ান কমিশনের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: International Millet Year 2023: সংসদে ঝড়, হাসিমুখে মধ্যাহ্নভোজ মোদি-খাড়্গের, রাগ গলে জল
দিনের শেষে ১৪টি বিরোধী দল মিলে একটি যৌথ বিবৃতিতে বলে, বিষমদে মৃত্যুর ঘটনায় তারা সকলেই ব্যথিত। কিন্তু, ২০১৬ সালে যখন বিহারে মদ নিষিদ্ধ করা হয়, তখন সেখানে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি-জেডিইউ জোট। অথচ ২০২১ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যেই সেই আমলে বিষমদের বলি হয়েছেন অন্তত ২০০ জন। তখন তো মানবাধিকার কমিশন বিহারে পা রাখেনি।
মোদি সরকারের এই ‘দুমুখো নীতি’র সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীরা বলেছে, গুজরাতে এবছরেরই জুলাই মাসে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১-এর মে মাসে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে এবং ২০২০-র নভেম্বরে হরিয়ানার পানিপথে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এভাবে পরপর বেশ কয়েকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে।