সীমান্ত এলাকাগুলিতে শান্তি বজায় রাখাটা চিন-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের জন্য জরুরি। চিনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত সান উইডংকে একথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বুধবার চিনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতে সান উইডংয়ের সঙ্গে দেখা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এর আগেই সান উইডং মন্তব্য করেছিলেন, চিন এবং ভারতের উচিত দু’দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে মর্যাদা দেওয়া। দু’দেশের কারওই উচিত নয় পরস্পরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো।
এরপর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত সান উইডংকে নরম ভাষাতে কড়া বার্তা দিলেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রক টুইট করেও জানিয়েছে, ভারত ও চিনের সম্পর্ক প্রধানত যে বিষয়গুলির উপর নির্ভর করছে তাতে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখা জরুরি। এতে দু’দেশের সম্পর্ক ভবিষ্যতে স্বাভাবিক হবে। চিন ও ভারতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে তা শুধুমাত্র এশিয়া নয়, সারা বিশ্বের পক্ষেই ভালো হবে। এজন্য চিন ও ভারতের পরস্পরের স্বার্থের দিকে নজর দেওয়াও উচিত।
চিনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত সান উইডংয়ের বক্তব্য রাজধানীস্থিত চিনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে। ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ভারত ও চিন পরস্পরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। চিন ও ভারতের মধ্যে যে মতপার্থক্য রয়েছে তা অস্বাভাবিক কোনও ব্যাপার নয়। বরং এই মতপার্থক্য কোন পথে মেটানো যেতে পারে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কে সচেতনতা মতপার্থক্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনাই সেই পথ যার মাধ্যমে দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে।
আরও পড়ুন: Derek O’Brien: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে জানাতে হবে আপনি রাজনীতি করেন কিনা
চিনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত একথা বললেও কার্যত ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ার পরে। ২০২০ সালের জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের পর থেকে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়েছে।