শ্রীনগর: কাশ্মীরে সেনা কনভয়ে হামলার ঘটনায় ৭ লস্কর (LeT) জঙ্গি জড়িত। পুঞ্চে সেনা গাড়িতে তারা ঘন জঙ্গল, বৃষ্টিবাদলার রাত ও পাহাড়ি রাস্তার সুযোগ নিয়ে রকেট-প্রপেলড গ্রেনেড (RPG) ছুড়েছিল বলে সেনা সূত্র জানিয়েছে। পুঞ্চ জঙ্গি হামলায় প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এর পিছনে রয়েছে লস্কর-ই-তোইবার অন্তত ৭ জঙ্গি। বৃহস্পতিবারের ওই হামলায় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ৫ জওয়ান শহীদ হন। একজন এখনও গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
তবে জঙ্গিরা জওয়ানদের গুলি করে খতম করার পর গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, নাকি সোজা গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চলছে। যদিও এর পিছনে পাকিস্তানের জঙ্গিদের হাত রয়েছে এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। মে মাসে শ্রীনগরে (Sri Nagar) অনুষ্ঠেয় জি ২০ (G 20) সম্মেলনে পাকিস্তান (Pakistan) আপত্তি তুলেছিল। এর বিরোধিতাও করেছে ইসলামাবাদ (Islamabad)।
আরও পড়ুন: Weather Update | আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিজবে তিলোত্তমা, নামতে চলেছে স্বস্তির বৃষ্টি
এই জঙ্গি হামলার পিছনে তার সরাসরি যোগাযোগ আছে বলে গোয়েন্দাদের অনুমান। কারণ, শুধু বিরোধিতা নয়, কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তান জি ২০ সদস্যভুক্ত দেশগুলিকে, বিশেষত তাদের ‘হৃদপিণ্ড’ চীনকে (China) এই বৈঠক বয়কটের কথা বলে চলেছে। জম্মু-কাশ্মীরের এক পদস্থ প্রশাসনিক কর্তা বলেন, জি ২০-র আগে পরিকল্পিতভাবে ভূস্বর্গে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। জি ২০ সদস্যভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের শ্রীনগরে আসার ব্যাপারে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুঞ্চ (Poonch) জেলায় ভারতীয় সেনার কনভয়ে হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা (Terrorist Attack)। ঘটনায় মৃত্যু হয় পাঁচ জওয়ানের। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে রাজৌরির সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুঞ্চের মেন্ধার মহকুমার নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভীম্বার গলিতে ঘটনাটি ঘটে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, সেনা কনভয়ের উপর বজ্রপাতের কারণে জওয়ানদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু পরে সেনা বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেয়, গ্রেনেড হামলা হয়েছে সেনার গাড়ির উপর। তাতেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচ সেনাকর্মীর। সেনাবাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে নাগাদ একটি সেনা ট্রাক পুঞ্চের ভীম্বার গলি থেকে সংজিওতের দিকে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ই এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং কম দৃশ্যমানতার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালায়। সম্ভবত গ্রেনেড হামলার জেরেই সেনা কনভয়ে আগুন ধরে যায়।