কোনও শিক্ষামূলক ট্রাস্ট বা সোসাইটি যদি আর্থিক লাভের মুখ দেখে তবে সেটি আয়কর ছাড় পাবে না বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। শুধুমাত্র শিক্ষাদানই যে ট্রাস্টের লক্ষ্য এবং লাভের অর্থ শিক্ষার কাজেই ব্যবহৃত হবে, একমাত্র তারাই পেতে পারে কর ছাড়া। কর ছাড় পাওয়া কোনও ট্রাস্টের শিক্ষাদান বাদে অন্য কোনও অভিপ্রায় থাকতে পারে না। প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চ এই রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পুরনো রায়কেই বদলে দিল।
আরও পড়ুন: TET Agitation: চাকরির দাবিতে বিধাননগরে আন্দোলনে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরাও
এক্ষেত্রে ‘শুধুমাত্র’ (Solely) শব্দটির অর্থ পরিবর্তন করেছে শীর্ষ আদালত। এর আগে ‘শুধুমাত্র’ বলতে ‘প্রধানত’ অথবা ‘প্রাথমিক’ (Dominant/ Predominant/ Primary/ Main) বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু নতুন রায়ে ‘শুধুমাত্র’ শব্দের অর্থ বদলে বলা হল, কর ছাড় পাওয়া কোনও ট্রাস্টের শিক্ষাদান বাদে অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারবে না। তবে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, আগে কোনও লাভজনক শিক্ষামূলক ট্রাস্ট যে কর ছাড়া পেয়েছে তা আদায় করা হবে না। এই রায় প্রযোজ্য হবে এবার থেকে।
একাধিক লাভজনক শিক্ষা ট্রাস্ট কর ছাড়ের সুবিধাপ্রাপ্ত হিসেবে নিজেদের রেজিস্ট্রেশন করাতে পারেনি অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ে। অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ওই শিক্ষামূলক ট্রাস্টগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য শিক্ষাদান নয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল ট্রাস্টগুলি। কিন্তু অন্ধ্র হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চ জানায়, জ্ঞাননির্ভর, তথ্যচালিত সমাজে শিক্ষাই প্রকৃত সম্পদ। শিক্ষাই হল স্বাধীনতার সোনালি দরজার চাবি।