নয়াদিল্লি: ১৯ বছর পর মায়ের কাছে ফিরে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তুঘলক রোডের (Tughlaq Road) সরকারি বাংলো থেকে লোটাকম্বল গুটিয়ে ফের গান্ধী পরিবারের (Gandhi Family) পুরনো ঠিকানায় ফিরতে চলেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সুরাতের আদালতে (Surat Court) দোষী সাব্যস্ত ও সাজা ঘোষণার পরপরই লোকসভায় তাঁর সদস্যপদ (Disqualification) খারিজ হয়। তারপর সাততাড়াতাড়ি তাঁকে সংসদ সদস্য হিসেবে সরকারি বাংলো (Govt Banglow) খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে তাঁকে বাংলো ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিসে।
২০০৪ সালে লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর রাহুল গান্ধী ১২ নম্বর তুঘলক রোডের একটি সরকারি বাংলো পান। সেখানেই এতদিন কাটিয়েছেন তিনি। এই বাড়িকে ঘিরে অনেক স্মৃতি রয়েছে কংগ্রেস নেতার। বহু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও প্রভাবশালী নেতা-নেত্রীর আসা-যাওয়ায় সারাদিন গমগম করত বাড়ি। এখন সেখান থেকেই মালপত্র গুটিয়ে চলে যাচ্ছে ১০ নম্বর জনপথে। যে ঠিকানাকে প্রতিটি কংগ্রেসি ‘তীর্থস্থান’ বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন: Duare Sarkar | তুফানগঞ্জে দুয়ারে সরকার শিবিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তুঘলক রোডের বাড়ি থেকে ইতিমধ্যেই আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যার ঠিকানা ১০ জনপথ (10 Janpath)। রাহুলও খুব শীঘ্রই মায়ের বাড়িতে চলে যাবেন। ঠিকানা জুটলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে রাহুলের জন্য একটি অফিসবাড়ির। রাজধানীর বুকে রাহুলের নয়া অফিস পত্তনের জন্য একটি ছোটখাট বাড়ির খোঁজ চলছে।
এদিকে, রাহুল গান্ধীর পিতৃবন্ধু মাধবরাও-পুত্র জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বুধবার তীক্ষ্ণ আক্রমণ করেছেন বিদেশের মাটিতে দেশের বদনাম করা কংগ্রেস নেতাকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য এদিন বলেন, কংগ্রেসে এখন কোনও আদর্শ নেই। দেশের বিরুদ্ধে কাজ করা বিশ্বাসঘাতককে রক্ষা করা ছাড়া। কংগ্রেস এখন রাহুল গান্ধীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা এবং বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার কাজে মগ্ন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ১০ জনপথেই থাকতেন। তাঁর হত্যাকাণ্ডের পর সোনিয়া গান্ধীও (Sonia Gandhi) এই সরকারি বাসভবনে থেকে যান। সেই হিসেবে এই বাড়িতেও রয়েছে পৃথিবীর অসংখ্য গণ্যমান্য ব্যক্তির আনাগোনার ইতিহাস। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার জীবনের দীর্ঘ একটা সময় কেটেছে এই বাড়িতেই। উল্লেখ্য, সোনিয়া গান্ধীর এই বাসভবন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ৭ রেসকোর্স রোডের বাড়ির থেকেও বড়। ১০ জনপথের আয়তন প্রায় ১৫ হাজার ১৮১ বর্গ মিটার। আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের আয়তন হলে ১৪ হাজার ১০১ বর্গ মিটার।