কিভ: ইউক্রেনে উপর গত শুক্রবার রাশিয়া যে মিসাইল হামলা (Missile Attack) চালিয়েছে, তা সাম্প্রতিক সময়ে বা বলতে গেলে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনে (Ukraine) এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বড় শহর বিদ্যুৎ-বিহীন হয়ে পড়ে। এমনকি গোটা দেশজুড়ে এমার্জেন্সি ব্ল্যাকাউট (Nationwide Emergency Blackout) পর্যন্ত ঘোষণা করতে হয়েছে। ইউক্রেনীয় আধিকারিকরা এই খবর জানিয়েছে। ইউক্রেনের উপর ৭০টিরও বেশি মিসাইল ছুঁড়েছে রাশিয়া (Russia)। মিসাইল ও রকেট হামলায় মধ্য কিরভি রিহ (Kryvyi Rih)-তে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে তিনজন মারা গিয়েছে এবং দক্ষিণে খেরসন (Kherson) শহরে শেল হামলায় আরও একজন মারা গিয়েছে। এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ান অধিকৃত ভৃখণ্ডে মোতায়েন রাশিয়ার এক আধিকারিকের বক্তব্য, ইউক্রেনীয় শেল হামলায় (Ukrainian Shell Attack) ১২ জন মারা গিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনেস্কি (Ukrainian President Volodymyr Zelensky) সান্ধ্যকালীন এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, রাশিয়ার হাতে এখনও প্রচুর পরিমাণ মিসাইল রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি বড় হামলা চালানোর জন্য এবং তিনি পশ্চিমী দুনিয়ার সহযোগীদের (Western Allies) আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে কিভকে আরও বেশি করে ও উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defence System) সরবরাহ করা হয়। জেলেনেস্কি এটাও বলেছেন, পাল্টা আঘাত হানার জন্য ইউক্রেন যথেষ্ট সক্ষম। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি, রাশিয়ার হাতে যতই মিসাইল থাকুক, তা কোনওভাবেই এই যুদ্ধে ক্ষমতার ভারসাম্যকে বদলে দিতে পারবে না।
আরও পড়ুন: China Covid: ২০২৩ সালে কোভিডে ১০ লক্ষ মৃত্যু হতে পারে চীনে, বলছে গবেষণা
গত বৃহস্পতিবারই কিভ (Kyv) তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, নতুন বছরে মস্কো বড় হামলার পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসনের একবছর পূর্তি হবে। বিগত এই সময়ে ইউক্রেনে মিসাইল হামলা চালালেও, রাশিয়ার সৈন্য ইউক্রেনের খুব বেশি জমি দখল করতে পারেনি। এদিকে, গত অক্টোবর থেকে মিসাইল ও রকেট হামলায় বেছে বেছে ইউক্রেনের শক্তি পরিকাঠামোগুলিকে (Power Infrastructure) নিশানা করছে রাশিয়া। আকাশ পথে হামলায় বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি শীত পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিয়েছে ইউক্রেনে। শুক্রবার মিসাইল হামলার পর সারা দেশে তৎক্ষণাৎ জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করা হয়েছিল। বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ বিচ্ছিন্ন (Power and Water Supply Disrupted) হয়ে পড়েছিল। ফলে ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল সে দেশের সরকার। মেরামতির পর পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হওয়ায় এমার্জেন্সি তুলে নেওয়া হয়। তবে নতুন করে ফের হামলা চালাতে পারে রাশিয়া, সে বিষয়ে ইউক্রেনের জনগণকে সতর্ক করে দেওয়া কর্তৃপক্ষ তরফে।