শান্তিনিকেতন: অধ্যাপকের (Professor) পর এবার পড়ুয়ারা (Student)। অধ্যাপককে ধরানো হয়েছে বরখাস্তের চিঠি। একই দিনে সাত পড়ুয়াকে ধরানো হল এক বছরের সাসপেন্ডের চিঠি। সাম্প্রতিক আন্দোলনের আবহে শুক্রবার একসঙ্গে সাত জন ছাত্রকে সাসপেন্ড করল বিশ্ববিদ্যালয় (University) কর্তৃপক্ষ। তাঁদের এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিশ্বভারতীতে ছাত্র আন্দোলনের জেরে কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakraborty)। এদিনই অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগের এক অধ্যাপককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নোটিস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।বৃহস্পতিবারই বোলপুরে ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প পৌষমেলার উদ্বোধনের আমন্ত্রণ তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাসপেন্ড করা ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উপাচার্যের (Vice Chancellor) দফতরে ঢুকে দশ ঘণ্টা ধরে ঘেরাও করে তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি উপাচার্যের বাসভবনে ২০ দিন ধরে উপাচার্যকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: Teacher Arrest: বধূ নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটি এগজিকিউটিভ কাউন্সিল (EC) বা কর্ম সমিতি এই সাত জন পড়ুয়াকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর তরফে প্রোক্টরের (Proctor) অফিস থেকে ছাত্রদের সাসপেন্ডের চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, এই বিষয়ে গত ইসি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দশ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনে (Defense) ওই পড়ুয়াদের কাছে জবাব চেয়েছে কর্তৃপক্ষ। তা না পেলে ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে। একসঙ্গে সাত জন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড (Suspend) করার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।