বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের (Karnataka) অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত জয়নগর বিধানসভা কেন্দ্র কি এবারও ধরে রাখতে পারবেন কংগ্রেসের সৌম্যা রেড্ডি? বিজেপি এবং কংগ্রেসের পুর্বতন জোটসঙ্গী জেডিএস এই কেন্দ্র দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ত্রিমুখী লড়াইয়ে জয়নগরে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি কে হাসবেন, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৩ মে পর্যন্ত। ১০ মে কর্নাটকে ভোট। ফল প্রকাশ ১৩ তারিখে। তবে এলাকার মানুষ অবশ্য এগিয়ে রাখছে কংগ্রেসের তরুণ এবং উদ্যমী প্রার্থী সৌম্যাকেই।
২০১৮ সালে সৌম্যা এই কেন্দ্র থেকেই ৫১শতাংশ ভোট পেয়ে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন। জয়নগর কর্নাটকের অভিজাত এবং পশ এলাকা বলে পরিচিত। এই শহরকে অনেকেই প্রথম পরিকল্পিত শহর হিসেবে চেনেন কর্নাটকে। এই কেন্দ্রের উপর দিয়েই নাম্মা মেট্রো প্রকল্পের গ্রিন লাইন চলে গিয়েছে। প্রস্তাবিত ইয়েলো লাইনও জয়নগরের উপর দিয়েই যাওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: Congress Joining | বসিরহাটে তৃণমূল-বিজেপিতে ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান শতাধিক কর্মীর
জয়নগর কেন্দ্রটি সাধারণ তালিকাভুক্ত আসন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রবীণ জেডিএস নেতা এইচ ডি দেবেগৌড়া সহ অনেক রাজনৈতিক নেতাই এই কেন্দ্রের ভোটার। স্থানীয় সূত্রের খবর, সৌম্যার উদ্যোগেই জয়নগর শপিং কমপ্লেক্সের সংস্কারের কাজ হয়েছে। শহরের রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও সৌম্যার বিশেষ ভুমিকা রয়েছে।
এই কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার। কংগ্রেস এবং জেডিএস এসসি, এসটি এবং সংখ্যালঘু ভোটের উপর বেশি জোর দিচ্ছে। তবে বিজেপির পাখির চোখ ব্রাহ্মণ এবং ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের ভোটের দিকে। এই কেন্দ্রে ভোক্কালিগা সম্প্রদায়েরও ভালো ভোট রয়েছে। রাজ্য নির্বাচন দফতর সূত্রের খবর, এই কেন্দ্রের মোট জনসংখ্যার ৮০.২৯ শতাংশ হিন্দু, ১২.৯৭ শতাংশ মুসলিম এবং ৫.২৫ শতাংশ খ্রিস্টান।
আর ৯ দিন বাদেই কর্নাটকে ভোট। এই মুহূর্তে প্রচার তুঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির তাবড় নেতারা কার্যত দিল্লি থেকে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করছেন কর্নাটকে। কংগ্রেস দক্ষিণী এই রাজ্য দখলে মরিয়া। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে থেকে শুরু করে কংগ্রেসের হেভি ওয়েট নেতারাও প্রচার চালাচ্ছেন। অধিকাংশ প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষাই এবার ভোটে কংগ্রেসকে এগিয়ে রেখেছে। এই অবস্থায় রাজ্যের অন্যতম প্রেস্টিজিয়াস কেন্দ্র জয়নগরেও লড়াই জমজমাট।