কলকাতা: বোর্ডের সিংহাসন হারানোর পর এই প্রথম মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সৌরভের গলায় ধরা পড়ল অভিমান। বৃহস্পতিবার এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে গিয়ে সৌরভ বললেন, “ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে কাজ করলাম। বিসিসিআই, সিএবি-র সভাপতি এখন অতীত। এবার আমি অন্য কিছু করতেই পারি।” এরপর সৌরভ বলেন, ‘আমি সিএবি ও বিসিসিআই সভাপতি হয়েছি ঠিকই। কিন্তু খেলোয়াড় জীবনের ১৫ বছর সেরা। জানতাম দলে থাকতে গেলে রান করতে হবে। আমি মানি, জীবনে বাঁচতে গেলে ধনকুবেরের মতো অর্থ লাগে না।’ সৌরভের সংযোজন, ‘দ্রুত সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। কেউ একদিনে সফল হয় না। নরেন্দ্র মোদি থেকে আম্বানি কেউই একদিনে সাফল্য পাননি। জীবনভর বহু পরিশ্রম করতে হয়। আমিও প্রশাসক পদে ছিলাম, এখন অন্য ভূমিকায় দেখা যাবে’।
অনুষ্ঠানে নিজের জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে একটা জায়গায় সৌরভ বলেন, ‘আমি সিএবি (CAB)-তে পাঁচ বছর ও বিসিসিআই (BCCI)-তে তিন বছর প্রশাসক হিসাবে কাজ করেছি। এতগুলো বছরে এটা বুঝেছি, কিছু জিনিস ছাড়তে হয়।” ক্রিকেট প্রশাসন, নাকি ক্রিকেটার (Cricketer)? কোনটার চ্যালেঞ্জ বেশি? এই প্রসঙ্গে সৌরভ বললেন,”আমি ক্রিকেটার হিসেবে অনেক বেশি সময় ছিলাম। চুটিয়ে উপভোগ করেছি। ক্রিকেটারের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। প্রশাসকের দায়িত্ব অনেক। দলের জন্য আরও ভালো কিছু করতে হয়। প্রশাসক হিসেবেও দুর্দান্ত সব মুহূর্ত পেয়েছি। কেউ সারাজীবন খেলতেও পারে না বা প্রশাসক হিসেবেও থাকতে পারেন না।”
আরও পড়ুন: Womens Asia Cup: শেষ বলের রান আউটে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা, সামনে ভারত
বোর্ডের শীর্ষপদে থেকে নিজের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে দাদা বললেন,”বিগত তিন বছরে ভারতীয় ক্রিকেটে অনেক ভালো কিছু হয়েছে। কোভিড আবহে আইপিএল (IPL) থেকে।মহিলা ক্রিকেটারদের রুপো জয়। ভারতীয় দল বিদেশের মাটিতে ভালো খেলেছে। এই ভারতীয় দলের দারুণ প্রাণশক্তি রয়েছে।’